Image description
 

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া প্রথম রায়ে হতাহত পরিবারগুলো সন্তুষ্ট হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তিনি বলেন, ‘আজকে যে রায় হয়েছে, সেই রায়ের মাধ্যমে শহীদ এবং আহত পরিবার সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হয়নি। আমাদের ৩ নম্বর যিনি আসামি ছিল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের যে রায়টি হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড সেই রায়ে শহীদ পরিবার এবং আহত পরিবার সন্তুষ্ট হয়নি।’

আজ সোমবার বিকেলে রায় ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে মীর স্নিগ্ধ বলেন, ‘যদিও সে রাজসাক্ষী, তাঁর সেই প্রিভিলেজ দেখিয়ে তাঁকে এই রায়টি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, সে রাজসাক্ষী হলেও তাঁকে অন্ততপক্ষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিত ছিল। তাঁর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য তাঁকে যে প্রিভিলেজটি দেওয়া সেটি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কোর্ট বিবেচনায় নেয়নি। এর জন্য শহীদ এবং আহত পরিবার সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নয়। এবং আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে এবং আরও কোন জায়গায় যদি আপিল করার সুযোগ থাকে, সে জায়গায় শহীদ এবং আহত পরিবারদের পক্ষ থেকে আপিল করব।’

মীর স্নিগ্ধ বলেন, ‘এই রায়ের আসলে কোনো মূল্য নেই, যদি শেখ হাসিনা এবং সাবেক খুনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেশের মাটিতে নিয়ে এসে এই রায়টি কার্যকর না করা হয়। এবং যত দিন না পর্যন্ত এই রায়টি কার্যকর না করা হবে, তত দিন পর্যন্ত এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাহিনীর যারা আছে, তাদের দোসররা আছে, তারা বহাল তবিয়তে এ দেশের মাটিতে ঘুরে যাবে এবং বিভিন্ন রকম প্রোপাগান্ডা করে যাবে। তাই বাংলাদেশের সরকারের কাছে এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছে, তাদের সবার কাছে শহীদ এবং আহতদের পক্ষ থেকে একটাই রিকোয়েস্ট যে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাদের যে রায়টি হয়েছে সেটি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা।’

ভারতের উদ্দেশে স্নিগ্ধ বলেন, ‘ভারতের প্রতি মেসেজ থাকবে একটি যে একজন ফ্যাসিস্ট, একজন খুনিকে আপনারা আপনাদের কাছে না রেখে যত দ্রুত সম্ভব নিজের দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেন। তাদের নিজেদের দেশের মানুষেরা ডিসিশন নেবে, সেই খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে কী হবে। সেই দেশের সরকার অর্থাৎ বাংলাদেশের সরকার সেই ডিসিশন নেবে, এই খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে কী হবে।’