Image description

সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, চব্বিশের স্বাধীনতার চেতনাকে সরকার পরিচালনাকারী কিছু ছাত্রনেতা নষ্ট করে দিচ্ছে। চব্বিশের অভ্যুত্থানের ৬ মাস হয়ে আসলেও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কতজন মানুষ শহীদ ও আহত হয়েছে তার সঠিক কোনো সংখ্যা আজ পর্যন্ত সরকার জানাতে পারেনি। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়া এলাকায় মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাল সেই পরিবারগুলোর সদস্যদের এখনো পুর্নবাসন করা হয়নি। নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা এখনো সচিবালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। একজন শহীদের রক্তের মূল্য পাচঁলাখ টাকা হতে পারে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২৪ চেতনা বেশী দিন টিকে থাকবে না। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তিকে চাকরি প্রদানসহ সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি।

রাজিব আহসান বলেন,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা কথায় কথায় হুমকি-দমকি দেয় এটা করতে দেওয়া হবে না, ওটা করতে দেওয়া হবে না। আপনারা আমাদেরকে শত্রু মনে করছেন। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল করার জন্য আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।  গত ১৭ বছর ধরে সেচ্ছাসেবক দল সহ বিএনপির নেতা কর্মীরা রাজপথে লড়াই চালিয়ে আসছে। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনরা সাথে জড়িত কিছু কিছু মানুষের মাথায় গুন পোকা ধরছে। তাদের মাথায় অন্যকিছু চিন্তা করছে। তাই ২৪ চেতনা বাস্তবায়নে সামনে আনছে না। আরে ভাই আমরা তো পুরনো মাল। ১৭ বছর ধরে রাজপথে লড়াই করে চিকে আছি, আমরাই থাকবো, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আপনারা ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না এটা কুতর্ক। ৬ মাস তো হয়ে গেল কিন্তু আপনারা তো সংস্কারের কোনো রূপরেখার কিছুই দিতে পারেননি। বিএনপি দ্রুততম সময়ে সংস্কার শেষে নির্বাচন চায়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানার সভাপতিতে এবং সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রাসেল মামুন, সালমা সুলতানা সোমা, মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল , নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিবসহ অনেকে।