Image description
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে নারীসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

আহতরা হলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইমরান সরকার (২১), তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিম (২২), আবরার (২২), আল আমিন (২৫), আফসার উদ্দিন (২৫), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী আসিফ (২৪) ও ডেমরা বড় মাদরাসার ছাত্র মাসুদ (২৪)।

আহত আল আমিন জানান, গত সোমবার যাত্রাবাড়ী জোনের সমন্বয়কদের একটি মতবিনিময়সভা ছিল। এ সময় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে তাঁদের সামনে তাঁদের একজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আজকে (গতকাল) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে এলে নাঈম আসাদ বিন রনি, রিফাত রশিদ ও হৃদয়ের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে তাঁদের বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধা গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসি নিচ্ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বাংলামোটর থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাঁদের সবার চিকিৎসি চলছে।

এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমি খবর শুনে মাত্র এসেছি। ঘটনা সম্পর্কে আমি দেখব, জানব; তারপর বিস্তারিত জানাতে পারব।

এদিকে গতকাল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। তাতে জানানো হয়, বাংলামোটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপথগামী কয়েকজন মানুষ এসে বিভিন্ন অপ্রীতিকর স্লোগান দিতে থাকে। একসময় তারা জোরজবরদস্তি করে কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করে দেয়। এতে অফিস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তাত্ক্ষণিক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশিদ, আহনাফ সাঈদ খান, নাঈম আবেদিন, আসাদ বিন রনি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আগত ব্যক্তিদের দাবিদাওয়া শুনতে চান।

কিন্তু তাঁরা সহযোগিতার বদলে নির্বাহী সদস্যদের ওপর চড়াও হন। নির্বাহী সদস্য নাঈম আবেদিন এতে আহত হন। পরে অন্য নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্তকারীদের কার্যালয় ত্যাগে বাধ্য করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিরা কেউ কেউ গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী থাকলেও কেউই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিক পরিসরে যুক্ত নন। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল এবং ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।