Image description

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) সম্প্রতি এক ছাত্রদল নেতার আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে আগাছা নিধনের কীটনাশক প্রয়োগ ও ফুলগাছ রোপণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন জিকুর ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, এটি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক আমির হামজা ও মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন।

তবে কর্মসূচির ছবিতে দেখা যায়, সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসমাউল হাসান ও মো. মোবাশ্বির হাসানও বৃক্ষরোপণ এবং কীটনাশক প্রয়োগে অংশ নিচ্ছেন। এ ঘটনায় অনেকে এটিকে ‘ছাত্রলীগ নেতাদের সুকৌশলে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা’ হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়ে আয়োজক শাখাওয়াত হোসেন জিকু বলেন, ‘ওরা দু’জন ছাত্রলীগের কমিটিতে নিজেদের অজান্তে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পরে পদত্যাগ করেন। আসমাউল ৬ জুলাই ও মোবাশ্বির ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন।’

তবে যাচাই করে দেখা গেছে, আসমাউলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই তারিখে পদত্যাগের কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।

শাখাওয়াত আরো জানান, ‘ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ যদি ছাত্রলীগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করে, তাহলে তাকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে এ কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নয়, এটি ছিল হল কমিটিতে পদ প্রত্যাশী সদস্যদের যৌথ উদ্যোগ।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব যীনাত মিয়া আজিজুল বলেন, ‘এই কর্মসূচি সম্পর্কে আমি অবগত নই। কেন্দ্র থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে— ছাত্রলীগের কমিটিভুক্ত কাউকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নতুন নেতৃত্ব আসার পর থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছাত্রলীগের সদস্যদের কোনো পদ দেয়া যাবে না। আপনি যে দুজনের কথা বললেন, তাদের মধ্যে একজনকে ‘স্বৈরাচারীর দোসর’ আখ্যায়িত করে পূর্বে রংপুর বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল।’