Image description

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে জেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন বেহেরকান্দি গ্রামের সেলিম দেওয়ানের ছেলে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার পর থেকেই মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় কয়েক দফায় সংঘর্ষও হয়েছে। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তুহিনকে লক্ষ্য করে মুন্সীকান্দি গ্রামের বিএনপি নেতা উজির আলীর গ্রুপের লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি ছোড়ে। গুলি তুহিনের গলার পেছনে লাগে। গুলির শব্দ ও তুহিনের চিৎকার শুনে গ্রামবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে আহাজারি করতে করতে নিহত তুহিনের মা লাকী বেগম বলেন, ‘লিটন বেপারী আমার নিষ্পাপ ছেলেকে গুলি কইরা মাইরা লাইছে। আমি তার ফাঁসি চাই।’ 

তুহিনের ভাই আক্কাস দেওয়ান বলেন, ‘তুহিন বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি করে তাকে হত্যা করেছে। লিটন বিএনপি নেতা উজির আলী গ্রুপের সন্ত্রাসী।’

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত লিটন বেপারী পলাতক। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে, ফলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা উজির আলী বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি। গ্রামে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি এর সঙ্গে জড়িত নই।’

সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’