Image description

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন,‘এখন বিতর্ক তৈরি হয়েছে, আগে সংস্কার না আগে নির্বাচন। সংস্কারের কোনো সীমা-পরিসীমা আছে? আমাদের মানব সভ্যতার যাত্রা যখন থেকে, তখন থেকে সংস্কার শুরু। আপনারা অন্তর্বর্তী সরকার। এক সরকার থেকে আরেক সরকারে যেতে যত কাজ আছে তার সবই আপনারা করতে পারেন। কেউ আপনাকে বলতে পারবে না, আপনি অন্তর্বর্তী সরকার, আপনি করেন কেন। যখন সংস্কারের প্রশ্ন আসছে, তখন স্পষ্ট করে বলতে হবে, আপনারা কি সংস্কার করতে চান? তবে আমি একটা ভালো নির্বাচন চাই।’

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এখন পর্যন্ত বিএনপি যে যে বিষয়ে আপত্তি করেছে সরকার সেখানে কোনো কাজ করতে পেরেছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। 

সরকারের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আপনি প্রেসিডেন্ট বদলাতে চেয়েছেন, বিএনপি গিয়ে বলেছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে এটা আপনি করতে পারেন না। আপনারা করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত বিএনপি যে যে বিষয়ে আপত্তি করেছে সরকার সেই বিষয়ে কোনও কাজ করতে পেরেছে?’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চলে গেছে, এখন রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বিএনপির হাতে। যেখানে সম্ভব চাঁদাবাজি করছে। একেকটা বাসস্ট্যান্ড দখল হয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দখল হয়ে গেছে কিন্তু সরকার কিছুই করতে পারেনি। আর অফিসার, পুলিশ ভাবছে, এক বছর পর বিএনপি ক্ষমতায় আসবে; এখন তাদের সঙ্গে ঝগড়া করলে চাকরি থাকবে না।’

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘কেউ কী ভেবেছেন এবারের অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে কারা? জামায়াতে ইসলামী। ৫ আগস্ট বৈঠকের পর সেনাপ্রধান বলেছেন- কারা কারা যোগ দিয়েছিল। অনেকের নাম বলেছেন, অনেকের নাম বললেন না। সবার আগে জামায়াতে ইসলামীর নাম বললেন, তাও দুবার। আন্দোলনে ২৮ তারিখের পর প্রত্যেক দিন আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা মানে গণতন্ত্র মঞ্চ। তখন বিএনপির নেতাদের খুঁজে পাই নাই, জামায়াতে ইসলামীও ছিল না। কাউকে পাইনি। কিন্তু আমরা যারা যারা ছিলাম তাদের নামই নাই।’

বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নির্বাহী সভাপতি মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন– শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।