 
              বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু উৎসব” আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শিশু মনস্তত্ত্ববিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ ড. মাহদী আমিন। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।
মূল আলোচক ড. মাহদী আমিন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিশুই বিজয়ী। আজকের শিশুদের হাত ধরে আগামী দিনের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, “শিশুদের মস্তিষ্ক বিকশিত করতে হলে সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও সৃজনশীল চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশে যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তা আজও অনন্য। শিশুদের বিকাশে সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের জন্য শিশু একাডেমী, শিশু পার্ক ও শিশু চলচ্চিত্র কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। প্রতি বছর তিনি শিশু সম্মেলনের আয়োজন করতেন, যেখানে তিনি পুরো দিন শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। কিন্তু গত ১৭ বছর ধরে আমাদের শিশুদের সামনে জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপন করা হয়নি। এই ইতিহাস জানা না থাকলে আমাদের জাতীয় ইতিহাস অপূর্ণ থেকে যাবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন ড. আজহারুল ইসলাম, অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “যুবদল যে উদ্যম নিয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজন করেছে, তা একটি ইতিবাচক নতুন জাতি গঠনের কার্যক্রম। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নাগরিক। তাদের সৃজনশীল চিন্তা, যুক্তি ও অনুধাবনের ক্ষমতা বিকশিত করার জন্য এমন উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “বিগত সময়ে আমাদের শিশুদের অনেককেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে দূরে রাখা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই প্রথম শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা আজ হারিয়ে গেছে।”
বক্তারা বলেন, একটি দেশের সাংস্কৃতিক অগ্রগতি তার সভ্যতা ও উন্নয়নের প্রতিফলন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, শিল্প ও সাহিত্যকে শিশুদের মাধ্যমে পরিচিত করাতে হবে- এটাই হবে প্রকৃত জাতি গঠনের পথ।
অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ছোট্ট শিল্পীরা স্বাধীনতা, প্রকৃতি, পরিবার ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে রঙে-তুলিতে ফুটিয়ে তোলে।
চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত এই শিশু উৎসবে শত শত শিশু, তাদের অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উৎসব শেষে শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
 
       
                 
                
 
                                                  
                                                  
                                                  
                                                  
                                                 