 
              যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় জাতিসংঘের ২৪ হাজার টনের বেশি ত্রাণ পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে (এনজিও) ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ জানায়, যুদ্ধবিরতির আগে সময়ের তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তবে মানবিক সহায়তা কর্মীরা এখনও অর্থের ঘাটতি ও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের জটিলতার মুখে পড়ছেন।
সংস্থাটির ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিষয়ক উপ-সমন্বয়ক রামিজ আলাকবারভ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে আমরা সব সীমান্ত দিয়ে ২৪ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ত্রাণ গাজায় এনেছি এবং আমরা কমিউনিটি ও পরিবারের ভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি।'
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক সামের আবদেলজাবের জানান, যুদ্ধবিরতির পর ২০ দিনের ত্রাণ কার্যক্রমে তারা গাজার ভেতরে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করেছেন।
আলাকবারভ আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় লুটপাটের ঘটনা অনেক কমে এসেছে, ফলে ত্রাণ বিতরণ সহজ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ১৫টি আউটপেশেন্ট থেরাপিউটিক প্রোগ্রাম সাইট চালু হয়েছে, যার মধ্যে আটটি নতুন কেন্দ্র গাজার উত্তর অংশে খোলা হয়েছে—ইউনিসেফের প্রশংসনীয় প্রচেষ্টায়।'
আলাকবারভ আরও বলেন, ‘২০ দফা বিশিষ্ট মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আমাদের জন্য কেন্দ্রীয় শর্ত, যাতে আমরা সার্বিকভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে পারি।'
তিনি ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন যেন, কর্তৃপক্ষ এনজিওগুলোকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়।
তিনি বলেন, ‘এনজিওগুলোর নিবন্ধন ইস্যুটি এখনো প্রধান বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। আমরা গাজায় মানবিক কার্যক্রমে এনজিও ও জাতীয় এনজিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছি, এবং এ বিষয়ে আমরা এখন উচ্চপর্যায়ে পদক্ষেপ নিয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ ইসরাইলে একটি সমন্বয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যাতে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ সমন্বয় করা যায়। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলো গাজার ভেতরে মানবিক ট্রাক প্রবেশের জন্য আরও বেশি সুযোগ দাবি করছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সুখবর হলো—মার্কিন মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির কারণে আমরা এখন অনেক বেশি ত্রাণ পাঠাতে পারছি, এবং আমরা আমাদের ৬০ দিনের জীবনরক্ষাকারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাজ বাড়াচ্ছি।'
 
       
                 
                
 
                                                  
                                                  
                                                  
                                                  
                                                 