Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সংসদে কমিটি পুনর্মূল্যায়ন ও বর্ধিত করার আবেদন জানিয়েছেন ছাত্রদলের ২৫ জন নেতাকর্মী। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনে হল সংসদে নির্বাচিত ১৩ জন এবং কমিটিতে পদ পাওয়া ১২ জন এ দাবি জানান। তাছাড়া, তাদের সঙ্গে আরও ১০ জন সংহতিও জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সেক্রেটারি বরাবর এ আবেদন জানানো হয়। যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে সংগঠনটির অভিযোগকারী এসব নেতাকর্মী পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

লিখিত আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে তারা দীর্ঘদিন চবি ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তা সত্ত্বেও নতুন ঘোষিত ৪২০ সদস্যের কমিটিতে ‘গ্রুপিং কালচারের’ পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে সিনিয়র ও পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে অনেক নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

অভিযোগে বলা হয়, চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের হয়ে বিভিন্ন হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনকে কমিটিতে স্থান দিলেও তাদের উপযুক্ত পদ দেওয়া হয়নি এবং বাকি ৩ জনকে কমিটিতে রাখা হয়নি।

আবেদনে আরও বলা হয়, অনেক সিনিয়র নেতাকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, অথচ এমন ব্যক্তিরাও কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা ছাত্রদলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় নন। আরও অভিযোগ করা হয়, ২২-২৩, ২৩-২৪ এবং ২৪-২৫ সেশনের জুনিয়রদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হলেও বহু সিনিয়রকে মূল্যায়ন করা হয়নি।

অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে দুই দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো হল- সিনিয়র এবং চাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে, কমিটি বর্ধিত করে বাদ পড়া পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

দাবি বিবেচনা না করা হলে চাকসুতে নির্বাচিত ১৩ জনসহ মোট ৩৫ জন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। 

এ বিষয়ে অভিযোগ করে চাকসু নির্বাচনে মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদ থেকে ভিপি নির্বাচিত হওয়া তাজীম ইবনে হাবিব বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সূর্যসেন হলে আমাদের সাথে প্রায় ২২ জনের মতো সক্রিয় কাজ করেছে৷ এর মধ্যে ৩ জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে বাকিদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া অনেক ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এজন্য সিনিয়রদের পরামর্শে আমরা একটি চিঠি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করি, কেন্দ্র বিষয়টি দেখবে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।