Image description
 

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গেয়ে বিপাকে কংগ্রেস সেবা দলের কর্মী বিদ্যুৎ ভূষণ দাস (৭৪)। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি কয়েকজন মন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য শাখাও শেয়ার করেছে। তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ভূষণ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়েছেন।

তবে বিদ্যুৎ বলছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই গানটি মনের টানে গেয়েছেন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় তিনি বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন।

কংগ্রেস সেবা দল হলো কংগ্রেসের তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। বিদ্যুৎ ভূষণ গানটি গান আসামের শ্রীভূমি জেলায় হওয়া এক অনুষ্ঠানে। 

এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, তিনি পুলিশকে শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেস কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিশ্ব শর্মা বলেন, দলটি ভারতের জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে। যা ভারতের প্রতি অসম্মান। বাংলাদেশিদের অনেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেন। এটি সেই দাবির প্রতিও এক ধরনের সমর্থন।

তবে বিদ্যুৎ ভূষণ বলেছেন, শ্রীভূমি শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে কংগ্রেস সেবা দলের বর্ধিত কমিটির সভায় তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী, পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবা দলে কাজ করছেন। সব সভার মতো এই সভাও ‘বন্দে মাতরম’ দিয়ে শুরু হয় এবং ভারতের জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হয়। 

বিদ্যুৎ ভূষণ আরও বলেন, ‘যখন আমাকে বক্তব্য দিতে বলা হয়, আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করি। আর তখনই আমার মনে আসে গানটি। আমি কেবল লাইনটি উচ্চারণ করি, এরপর বক্তব্য চালিয়ে যাই। আমি বিশ্বকবিকে এবং বাংলাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, বর্তমান শ্রীভূমি (আগের নাম করিমগঞ্জ) এক সময় বাংলাদেশের সিলেটের অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় সিলেটের মূল অংশ পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) অন্তর্ভুক্ত হলেও, এই অঞ্চলটি ভারতের সঙ্গেই থেকে যায়।