Image description

ডা: দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালে প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হন। তিনি ছিলেন একাধারে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী এবং দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সরকার ও দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুযোগে পুরো চাঁদপুর এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। আর এই সুযোগে দীপু মনি ও তার ভাই মিলেমিশে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেন। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের মধ্যে তিন মেয়াদে তিনটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেন ডা: দীপু মনি। এর মধ্যে পররাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পূর্ণকালীন মেয়াদ শেষ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি হওয়ার পর মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পান তিনি। বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ডও করেন তিনি। তবে শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন। তার সময়ে শিক্ষা খাতে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে পড়ে সর্বস্তরে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি দেশের পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কুক্ষিগত করে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভিসি নিয়োগে ২ কোটি ও অধ্যক্ষ নিয়োগে ৫০ লাখ : ২০১৯ সালে শিক্ষামন্ত্রী হন ডা: দীপু মনি। তার পর থেকেই মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করতেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে তিনি প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের জন্য দুই কোটি এবং কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য তিনি ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন। তার সময়ে শিক্ষা খাতে এটি ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। আর এসব নিয়োগের দেন-দরবার করতেন দীপু মনির ভাই ডা: জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু। মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ১৪তম বিসিএসের এক কর্মকর্তা জানান, তাকে মিরপুরের একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসতে ৫৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল। প্রথমে একজন মন্ত্রীর ডিও লেটার নিয়ে গেলে শিক্ষামন্ত্রী দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর তিনি শুনতে পারেন অন্য আরেকজন তার ভাই টিপুর সাথে যোগাযোগ করছেন। পরে তার ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি বলেন, ডিও লেটার দিয়ে কি প্রিন্সিপাল হওয়া যায়? এর পর অন্য আরেকটি মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকায় দফারফা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে পদায়ন করতে দুই কোটি টাকা নেন টিপু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কোনো নজির ছিল না। কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

দীপু মনির সিন্ডিকেটে যারা ছিলেন : দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার দরুন দীপু মনি আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট এবং নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের ১১ বছরই তিনি তিনটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘ এ সময় ডা: দীপু মনি এবং তার ভাই টিপু নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলিবাণিজ্য করে অনেক বিতর্কের জন্ম দেন। রাজধানীর কলাবাগান ও বনানীতে ছায়া অফিসের মাধ্যমে ভাই-বোন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। ২০২১ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেন। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির সাথে তার সখ্যতা থাকায় তিনি মন্ত্রীর হয়ে নেমে পড়েন তদবির-বাণিজ্যে। আর তার এ কাজে সহযোগিতা করতেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। এসব বাণিজ্যের দফারফা করতেন দীপু মনির ভাই টিপু। বোনের ক্ষমতা বলে তিনি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে ভিসি পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের সব পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। একাধিক শিক্ষকের মতে, টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটই নিয়ন্ত্রণ করতেন সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি। চাঁদপুর শহরের এক শিক্ষক বলেন, টিপু ও রতন মজুমদারের মনমতো না হলে ওই শিক্ষক হয়ে যেতেন বিএনপি-জামায়াত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলাম বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় এক শিক্ষককে খাগড়াছড়িতেও বদলি করার নজির রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরেরও নিয়ন্ত্রণ নেন তার ভাই টিপু। তিনি এ দফতরের ঠিকাদারদের কমিশন ছাড়া কাজ দিতেন না। নেয়া হতো ৫ থেকে ১০ পার্সেন্ট কমিশন। এ ছাড়া শিক্ষা প্রশাসনে প্রতিটি বদলিতে সর্বনি¤œ দুই লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হতো। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনেও বিশাল ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন ওই দুইজন। এদের ভয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা তটস্থ থাকতেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ শিক্ষক।

নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী : দীপু মনি গত ১৬ বছরে রাজনৈতিক মোড়কে চাঁদপুরে নিজস্ব একটি ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনে তার নির্দেশনায় স্থান পায় চিহ্নিত অপরাধীরা আর বঞ্চিত হতেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্ধারণও ছিল তার একটি বড় বাণিজ্য। এসব অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন ভাই ডা: জে আর ওয়াদুদ টিপু। ওই বাহিনীতে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেলিম চেয়ারম্যান ও তার ছেলে শান্ত খান। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার গণপিটুনিতে মারা যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এলাকায় দীপু মনির সব অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন সেলিম চেয়ারম্যান ও তার ছেলে শান্ত খান। তাদের কথা ছাড়া কোনো কাজ হতো না। এলাকায় আলোচনা আছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কৌশলে উত্তেজিত জনতাকে উসকে দিয়ে দুর্নীতির জ্বলন্ত সাক্ষী সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খানকে হত্যা করা হয়েছে, যাতে দীপু মনি বা তার ভাইয়ের অবৈধ টাকার সাক্ষী কেউ যেন না থাকে।

স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন : শিক্ষার উন্নয়ন বাজেটের বেশির ভাগ বরাদ্দ পায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)। এ খাতে সব ঠিকাদারকে ৫ শতাংশ কমিশন দিয়ে কাজ নিতে হতো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইইডির পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল দীপু মনির ভাই টিপুর হাতে। দীপু মনি ও তার ভাই টিপুর হাত থেকে রক্ষা পায়নি চাঁদপুরে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত আল-আমিন একাডেমি নামক প্রতিষ্ঠানটিও। তার ভাই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সব কিছু তছনছ করে নিজের লোক বসিয়েছিলেন।

বিদেশ সফরে রেকর্ড : অভিযোগ রয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে দীপু মনি সাড়ে চার বছরে ১৮৭ বার বিদেশ সফর এবং ৬০০ দিন বিদেশে অবস্থান করেন। শেখ মুজিবের খুনিদের বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আনতে ২০০৯ সালে সরকার যে লবিষ্ট নিয়োগ করে, তার দায়িত্ব দেন নিজের স্বামীকে। আর এ কাজের মাধ্যমে তিনি অনেক টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার মামলা আন্তর্জাতিক আদালতে লড়তে বাংলাদেশের পক্ষে যে বিলেতি ল’ ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছিল, তাতেও দুর্নীতির আশ্রয় নেন দীপু মনি। ওই ফার্মকে বিপুল অঙ্কের সম্মানী দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : ডা: দীপু মনির টাকার মেশিন ছিল লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বালুখেকো সেলিম খান ওরফে সেলিম চেয়ারম্যান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার হাত ধরেই উত্থান হয় সেলিম খানের। তিনি মেঘনা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন। আর তার ভাগ পেতেন দীপু মনি। তাই তাকে বারবার ডিও লেটার দিয়ে নির্বিচারে পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেন দীপু মনি। অভিযোগ রয়েছে, সেলিম খানের এই বালুমহাল থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন দীপু মনি ও তার ভাই টিপু। যদিও এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সেলিম চেয়ারম্যানকে ২৬৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা জমা দিতে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক। অথচ এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সমালোচনা করায় ২০২৩ সালে ২৬ সেপ্টেম্ব^র নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী পদ হারান।

খাস জমি বন্দোবস্ত করে দখল : স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নীলকমল ইউনিয়নের সোনাপুর, তাজপুর ও বাহেরচর এলাকায় চরের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। ১৯৮২ সালে হাতে লেখা জেএল তৈরি হয়। ওই জেএল এর মধ্যে দাগ ও খতিয়ান কিছুই ছিল না। ওই সব জমির মালিকানা সম্পর্কিত কোনো তথ্যই উপজেলা ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নেই। এ দিকে জেগে ওঠা এসব চরের জমি দখলের মিশনে নামেন ডা: দীপু মনির ভাই জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি জাওয়াদুর রহিম টিপু ও তার চক্রের সদস্যরা। তারা এসব জমিতে যারা এক সময় আবাদ করতেন তাদের ওয়ারিশদের মালিক বানিয়ে ২০১৯ সালে ৪৮.৫২৫ একর জমি সাফকবলা দলিল করে মালিক হন। সেই জমি দখলে নিয়ে তৈরি করেন মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার ও সবজি বাগান। হাইমচর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতি করে কাগজপত্র সৃজন করে এসব জমির মালিক হন- জে আর টিপু, নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর আহমেদ ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির চাঁদপুর প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন বাবু।

ভূমি অধিগ্রহণে লুটপাট : দীপু মনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ, চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের মতো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়। কিন্তু এসব প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে ৬০০ কোটি টাকা লুটপাটেরও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণে ৩৫৯ কোটি টাকা জালিয়াতির পাঁয়তারার চেষ্টা করা হয়। এই লুটপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসের মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে। তখন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েও শহর রক্ষায় স্থায়ী ও শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ভেস্তে যায়।

দীপু মনি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : গত ১১ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার ‘জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জন ও ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার ‘অস্বাভাবিক লেনদেনের’ অভিযোগে দীপু মনির বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করে দুদক। ওই দিন তার স্বামী তৌফিক নাওয়াজের বিরুদ্ধেও আরেকটি মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার ‘জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। এ দিকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের নজিরবিহীন পতনের পর ১৯ আগস্ট ডা: দীপু মনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি কারাগারে থাকায় এসব অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।