Image description

মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান খান বলেছেন, ‘জেলখানা আমার জন্য নেয়ামত। জেলে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়া শিখেছি। এখন নিয়মিত নামাজের পাশাপাশি কোরআন শরীফ পড়ি এবং অর্থ বুঝার চেষ্টা করি।’

আজ রোববার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সস্তাপুরে স্ত্রী চিকিৎসক গোলশান আক্তার বানুর জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

 
 

এর আগে শাহজাহান খানের স্ত্রী গোলশান আক্তার বানু আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফতুল্লার সস্তাপুরে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফতুল্লা কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। 

শাহজাহান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দোষ করেননি। দেশের জন্য, দেশবাসীর জন্য সারাজীবন জেল খেটেছেন। আমিও কোনো দোষ করিনি। কাউকে মারিনি, হত্যা করিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই জেলে, সেখানে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়া শিখেছি। মুক্তির পর আবারও জনসেবা করব।’

শাহজাহান খানের ছোট ভাই ফজলুল করিম খান বলেন, ‘২৫ মার্চ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকায় ইফতার পার্টি থেকে শাহজাহান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার স্ত্রী গোলশান আক্তার বানু নানা রোগে আক্রান্ত, তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকায় স্ত্রীর চিকিৎসা ও সেবা করতেন শাহজাহান খান নিজেই। গ্রেপ্তারের পর সঠিক চিকিৎসা ও সেবা না পাওয়ায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’

শাহজাহান খান মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঠেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। 

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহজাহান খান প্যারোলে দুই ঘণ্টার জন্য মুক্তি পান। তার স্ত্রীর দাফন শেষে আবারও তাকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ ও ফতুল্লাসহ বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।