
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে শমসেরনগর বিমানবন্দর আবারো চালু করা হবে। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ, থানাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় জনসংযোগকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসের রহমান এ কথা বলেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেন। বাজারের ব্যবসায়ী, দোকানি, পথচারী ও তরুণ ভোটারদের সঙ্গে করমর্দন ও কুশল বিনিময়ের সময় নাসের রহমান বলেন, ৩১ দফা হচ্ছে জনগণের মুক্তির পথনকশা, দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের ঘোষণা।
জনসংযোগকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। নতুন ব্রিজ ও থানাবাজারে তার আগমণে উপচেপড়ে জনতার ঢল। কেউ দোকান ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কেউ আবার মোবাইল হাতে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের মুখে মুখে শোনা যায় একটাই স্লোগান, ‘যেখানে নাসের, সেখানেই জনতা।’
এ সময় নাসের রহমান সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেন, তাদের সমস্যা শোনেন এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা লিফলেট বিলির পাশাপাশি বিগত ১৭ বছরে ভোটারবিহীন অবৈধ এমপি মন্ত্রীর উন্নয়ন বঞ্চিত মৌলভীবাজারবাসীর রাস্তাঘাটের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে উন্নয়ন বঞ্চিত মৌলভীবাজারবাসীর রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট মসজিদ মন্দির শহর ও গ্রাম গঞ্জে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
নতুন ব্রিজ বাজারে জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাসের রহমান বলেন, বিগত ১৬ বছরতো আমরা নির্বাচনই করতে পারিনি। অবৈধ নির্বাচনে জনগণের নির্বাচিত কোন প্রতিনিধি ছিল না কোথাও। সব তথাকথিত ভুয়া এমপি হয়েছিল। তাহলে উন্নয়ন হবে কিভাবে। যে লোক নমিনেশন নিলেই এমপি হতো। এদের এলাকার মানুষের জন্য কোনো দায়িত্ব ছিল না। তারা তো বেহায়া বিনা ভোটের তথাকথিত ভুয়া এমপি হতো। তাদেরতো লজ্জা শরম ছিল না। মিনিমাম লজ্জা শরম টুকু না থাকে।
তিনি বলেন, আজকে ১৬ বছর পরে একটা ইনশাআল্লাহ প্রপার নির্বাচন ফ্রেব্রুয়ারি মাসে হবে। এ নির্বাচনে আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে ইনশাআল্লাহ সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, এই যে উন্নয়নের ধারা থেকে মৌলভীবাজার গত ১৬ বছর ধরে বঞ্চিত ছিল। আমি বিভিন্ন জায়গায় বাহির হয়ে রাস্তা ঘাটের যে অবস্থা খানাখন্দ ভরা। কোনো সংস্কারই করতে পারেনি। নতুন রাস্তার তো প্রশ্নই উঠে না। যে সব রাস্তা ঘাট আমরা করে গিয়েছিলাম এইগুলোওর সংস্কার কাজও করতে পারেনি।
ইনশাআল্লাহ বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে আমরা প্রথমেই গ্রামীনজনপদের রাস্তঘাট পূনর্বাসন করবো। বিভিন্ন জায়গায় টিউবওয়েল দরকার সেই ডিপ টিওবয়েল আমরা বৃহদাকারে দেয়ার ব্যবস্থা করবো। মসজিদ মাদরাসা স্কুলে মন্দিরে অনুদানের ব্যবস্থা করবো। এবং ইন্ডিয়ার প্রেসক্রিপশনে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে গেছে। স্বাস্থ্য খাতে যে লুটপাট করে গেছে। এই স্বাস্থ্য খাতে এই যে মৌলভীবাজারে আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল আছে এটা বৃহৎ আকারে সংস্কার উন্নয়ন করবো। এখানে ভালো ভালো ডাক্তার আনা হবে। এবং শমসেরনগর বিমানবন্দর আবারো চালু করা হবে।
এ সময় জনসংযোগে অংশ নেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৩ নং কামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বকসী মিছবাউর রহমান, মো. ফখরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান মজনু, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম শেলুন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিউর রহমান শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল মাহমুদসহ স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।