
জুলাই সনদের বিএনপির স্বাক্ষর করা না করার বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআর না হলে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে একটি দল সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ৷ বিএনপি সে কথা বলছে না, বিএনপি সংস্কার ইস্যুতে অত্যন্ত ইতিবাচক। অবশ্যই আমরা সনদে স্বাক্ষর করবো, যদি বিএনপির দেয়া নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ হয় সনদে। গণভোটতো বিএনপি মেনে নিয়েছে। একটু অপেক্ষা করুন। অস্থির হয়েন না, টেনশন থাকা ভালো। কালকের দিন (শুক্রবার) পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীসংকৈল উপজেলায় এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানার হাটে এক সভায় ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিগত সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেন দরবার করেছি, বিদেশে নিয়ে তার চিকিৎসার জন্য। কিন্তু হাসিনা বললেন, পদ্মাসেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবেন বেগম খালেদা জিয়াকে। কিন্তু প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করবে বিএনপি।
সদর উপজেলায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক, মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোট দেওয়ার সুযোগ নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি ৩১ দফায় সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। সরকার যা করছে তা এখন দেখছি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি দল পিআর নিয়ে চিৎকার করছে। পিআর বোঝে না কেউ। ভোট হবে এক ব্যক্তি এক ভোট ভিত্তিতে। যা মানুষ বোঝে না, তা কেনো হবে? সবাই একমত হলে বিএনপি চিন্তা করে দেখবে। দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে নির্বাচিত সংসদে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মারামারি আর করতে চাই না, প্রাণ দিতে হবে না শিশুদের। রাজধানীতে যাওয়া যায় না, শুধু আন্দোলন আর আন্দোলন।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস একজন দুর্বল সরকার। সরকারকে সবাই ব্যস্ত করে রেখেছে, যেন নির্বাচন করতে না পারে। জনগণ নির্বাচন চায়, আর কোনো আপোষ নেই। আপোষ হবে না। পিআর-টিআর বাদ দিয়ে নির্বাচন হোক, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।