Image description
 

বাঁশখালীতে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক নেতাকর্মীর। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে উপজেলার কাথরিয়া বাজারে দু’দল মুখোমুখি অবস্থান নেয়। মোরশেদুল ইসলাম নামে এক যুবদল নেতার ওপর হামলার জের ধরে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কাথরিয়া বাজারের পশ্চিম দিকে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাজারের পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। এ সময় বাঁশখালী থানা-পুলিশের একটি টিম দুই দলের মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেন। বিকেলের দিকে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা সরে গেলেও এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর আগে, বেলা ৩টার দিকে যুবদল নেতা মোরশেদুল ইসলামের ওপর জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্রুত কাথরিয়া বাজারে আসার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে, জামায়াতের নেতা-কর্মীরাও কাথরিয়া বাজারে জড়ো হতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, জামায়াতের কয়েকজন নেতা তাদের ফেইসবুকে বিএনপি নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি মুলক পোস্ট প্রচার করে, যুবদল নেতা মোরশেদ এর প্রতিবাদ করায় তারা তাকে আটক করে মারধর করার কারণেই মূলত বিএনপি নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করে।

এদিকে কাথারিয়া জামায়াতের আমির মাষ্টার নুরুল কবির যুবদলের নেতা মোরশেদকে আটক ও মারধরের ঘটনা সত্য নয় দাবি করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়ায় জামায়াত নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, দুই দলের মাঝে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় কোনো ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষ হয়নি। সবাইকে শান্ত থাকতে এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানান তিনি।