
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা জুলাইয়ে ১৩৪ জন শিশুকে হত্যা করেছেন, দুই হাজারের মতো মানুষকে খুন করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন- এটার বিচার হতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সকলের প্রতি আহ্বান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন। এ সময় বিভিন্ন জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, স্বৈরাচার, হত্যাকারী, জনগণের সম্পদ লুটকারীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তাদের নিয়ে কখনো ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) নির্বাচন হবে না। তেলে-জলে মিলবে না। চোর-ডাকাত আর ভদ্রলোক এক সমাজে থাকে না, থাকতে পারে না। সুতরাং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন, স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা নিয়ে কোনো আপস হবে না।
নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হবে। সেটাকে আমাদের রুখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশটাকে ভগ্নস্তূপে রেখে গেছেন শেখ হাসিনা। এটিকে আমরা নতুন করে আমাদের স্বপ্ন অনুযায়ী গড়ে তুলবো। আমাদের পুলিশ ও সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে গড়ব। সেনাবাহিনীকে আমরা নতুন করে গড়ব। সব ধরনের ষড়যন্ত্র এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব বিষোদগার আছে সেগুলোকে আমরা মোকাবিলা করব। সবাই মিলে আমরা নির্বাচনের দিকে হাঁটবো।
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ধানাই-পানাই করে রাজনীতির দিন শেষ। এসব করে রাজনীতি চলবে না। এটি করতে গেলে জনগণ আবার জেগে উঠবে। সে জন্য নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে আবার নির্মাণ করতে হবে।