Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার ‘সেফ এক্সিট’ চাওয়ার প্রসঙ্গ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই ইস্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরে-বাইরে শুরু হয়েছে অস্বস্তি, গুঞ্জন ও পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের ঝড়। এমন সময় উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট নেওয়ার প্রমাণসহ তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

 

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “অনেক উপদেষ্টা ইতোমধ্যে নিজেদের সেফ এক্সিটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সময়মতো তাদের নাম জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।”

 

তার এই মন্তব্যকে ঘিরে উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমরা কেউই সেফ এক্সিট চাই না। দায়িত্ব পালন করেই দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে চাই। আমাদের কারো লুকানোর কিছু নেই। আমরা এখানেই থাকব, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব শেষ করব।

 

এ বিষয়ে উপদেষ্টা রিজোয়ানা হাসান বলেন, “নাহিদ ইসলাম যদি সত্যিই এমন কোনো তথ্য জানেন, তাহলে প্রমাণসহ প্রকাশ করা উচিত। না হলে এটি গুজব হিসেবে থেকে যাবে।”

 

তবে এনসিপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন,বিষয়টি নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং বাস্তবতার প্রতিফলন। দলের হাতে রয়েছে উপদেষ্টাদের তালিকা—যেখানে উল্লেখ আছে কারা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং কারা নিরাপদে সরে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু উপদেষ্টা দায়িত্ব এড়িয়ে এক্সিট নিতে চাইছেন। এই মানসিকতা নিয়ে কোনো সরকার স্থিতিশীল হতে পারে না। তাই এখন সময় এসেছে জাতির সামনে সত্য প্রকাশের।”

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপি যদি সত্যিই ওই তালিকা প্রকাশ করে, তবে সেটি সরকারের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনকে আরও উন্মুক্ত করে তুলবে। এতে সরকারের ওপর জনআস্থা ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।