
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রার্থী বাছাইয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি। তবে, দলের নীতি নির্ধারকদের মতে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
বেশিরভাগ আসনেই একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। কেন্দ্রীয় নেতারা জোর দিচ্ছেন—কেউ যেন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী না হন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রত্যেকটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। অনেক আসনে ১০ জন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন। আমরা জেলা ও বিভাগভিত্তিকভাবে যাচাই-বাছাই করছি। খুব শিগগিরই একক প্রার্থীকে মাঠে কাজের অনুমতি (গ্রিন সিগন্যাল) দেওয়া হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে প্রার্থিতা নিয়ে কোনো বিরোধ বা বিদ্রোহী প্রার্থী তৈরি না হয়।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “এখন বিএনপির জন্য একটি ইতিবাচক সময়। তাই প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। আমরা যাচাই করছি কে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জয়ের সম্ভাবনা বেশি—তাকে নিয়েই মাঠে নামব।”
দলীয় সূত্র মতে, মনোনয়ন চূড়ান্তের আগে মাঠপর্যায়ের সমীক্ষা ও জনপ্রিয়তা যাচাই করে তারেক রহমানের কাছে চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হবে। এরপর তার অনুমোদনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে বিএনপি।