
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ খুনের সরাসরি নির্দেশদাতা ও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীদের বিচারের রায় ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যকর হবে আমরা এই অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, এ রকম আশ্বাস যদি আমরা পাই তাহলে মনে করি ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন হওয়ার কোনো বাধা থাকতে পারে না।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে জামালপুর জেলা পরিষদ হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম এসব বলেন।
এনসিপির এ নেতা বলেন, আমরা বাংলাদেশের আইন অঙ্গন থেকে শুরু করে, যারা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আছেন, সচিব, নির্বাচন কমিশনসহ সকলের সঙ্গে কথা বলেছি, শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। যেহেতু আইনগত বাঁধা নেই। তাই আমরা প্রত্যাশা করি। আমাদের সঙ্গে অভ্যুত্থান পরবর্তি বাংলাদেশে, এমন একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, কোনোভাবেই প্রভাবে-প্রভাবিত হয়ে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ করবে না এবং আমরা প্রত্যাশা করি, আমরা শাপলা প্রতীক পাবো এবং সেই প্রতীকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়নে আইনগত ভিত্তি ও নিশ্চয়তা যদি পায় এবং বিচারের প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে। তবে আমরা বলবো না যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সকল মামলার আসামিদের বিচার হয়ে যাবে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে দৃশ্যমান কিছু শক্ত অবস্থান দেখতে পাচ্ছি। একটি কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর নিজেই আমাদের কাছে বলেছিলেন শেখ হাসিনাসহ এই খুনগুলোর সঙ্গে যারা সরাসরি নির্দেশদাতা ও সরাসরি সম্পৃক্ত তাদের বিচারের রায় আগামী ডিসেম্বরে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামেই নির্বাচন করবে। শাপলা প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। তাই আশা করছি, আমরা শাপলা প্রতীকই পাবো।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুল রহমান বকুলসহ এনসিপির জামালপুরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।