
ঢাকার নবাবগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিলেন এলাকাবাসী। রোববার রাতে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর এলাকায় একটি বাসায় হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয় কিশোররা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, রোববার সন্ধ্যার রাধাকান্তপুরের তপনদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন একদল কিশোর গ্যাং। তপনের বোন পপি আক্তারের সাবেক স্বামী শেখ আজমের নেতৃত্বে মারধরের পাশাপাশি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায় এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতরা হলেন- পপির সাবেক দেবর শেখ আনমন (২৩), ইকরাশী গ্রামের বাসিন্দা দীন মোহাম্মদের ছেলে নাঈম (২০), শ্যামলের ছেলে সামিউল (২১), আসালতের ছেলে নয়ন (১৯), শহীদ খন্দকারের ছেলে মো. জনি (২১), আ. সালামের ছেলে মো. হিল্লাল (২০), আস্রাব আলীর ছেলে শাওন (২০), আহম্মেদ আলীর ছেলে আসিফ (১৯), সজিবের ছেলে রৌদ্র (১৯) ও শেখ মজনুর ছেলে রবিউল (২০)।
পপি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ২০১১ সালে নয়ানগর গ্রামের শেখ আজমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৯ বছরের একটি ছেলে থাকলেও স্বামী তাকে ঠিকমতো ভরণপোষণ না দেওয়ায় চলতি বছরের মার্চে তিনি স্বামীকে একতরফা তালাক দেন। এরপর সাবেক স্বামী তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় বান্দুরা বাজারে প্রথমে তাকে নাজেহাল করেন আজম। এরপর তিনি বাসায় চলে এলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আজম পুনরায় প্রায় ১৫-১৬ জন কিশোরসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাসায় হামলা করে। এ সময় তাদের মারধরের পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী আজমসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় পপিদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন তার সাবেক শাশুড়ি মিনু বেগম। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার ছেলেকে রাধাকান্তপুর পপিদের বাড়ির সামনে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে পপি ও তার পরিবার। বর্তমান তার ছেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা হয়েছে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।