Image description

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ব্যারিস্টার নুসরাত খানের সঙ্গে বাগদান সেরেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে পারিবারিকভাবে এই বাগদান সম্পন্ন হয়। ইতোমধ্যে ইশরাকের হবু স্ত্রীর ছবি প্রকাশ হয়েছে, তবে মানুষের জানার আগ্রহ রয়েছে বিয়ে কবে হতে পারে। সে বিষয়েই ইঙ্গিত দিয়েছেন নুসরাত খান।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে নুসরাত খান বলেন, আমি সকলের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, গতকাল (১০ অক্টোবর) বারিধারায় আমাদের বাসভবনে এক ছোট্ট পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে ইশরাক হোসেনের এনগেজমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।বিয়ে কবে হতে পারে জানালেন ইশরাকের হবু স্ত্রী

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের বিয়ে আগামী বছর একটি উপযুক্ত সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সকলের সঙ্গে সেই আনন্দঘন মুহূর্ত উদযাপনের অপেক্ষায় আছি। আমাদের উভয় পরিবারের জন্য আপনাদের দোয়া কামনা করছি।

 

জানা গেছে, ব্যারিস্টার নুসরাত খান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলার সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ খানের বড় মেয়ে।

এর আগে তাদের বাগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে পারিবারিকভাবে বিয়ের আংটি পরিয়েছেন।

ইশরাক হোসেনের মা ইসমত হোসেন বলেন, হঠাৎ করে পারিবারিকভাবে বিয়ের আংটি পরানো হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

পাত্রীর বাবা নূর মুহাম্মদ খান জানান, ‘আমার বড় মেয়ে নুসরাত খান; শুক্রবার রাতে নতুন জীবনে যাত্রা শুরুতে আংটি পরানো হয়েছে। ওদের জন্য দোয়া করবেন, সবার কাছে দুজনার জন্য আশীর্বাদ চাই।’

তিনি আরও জানান, ‘বারিধারায় তার বাসায় একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনে বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। বাইরের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানে ইশরাকের মা ইসমত আরা হোসেন, ভাই ইশফাক হোসেনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।’

 

ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পটপরিবর্তনের পর ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল তাকে মেয়র ঘোষণা করলেও ‘আইনি জটিলতায়’ শেষ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি।

পাত্রী নুসরাত খান লন্ডন থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ইনার টেম্পল থেকে ব্যারিস্টার হন তিনি। এরপর ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি ও অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটি থেকে আইনের উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন নুসরাত। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ব্রিটিশ স্কুল অব লয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল।

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সদস্য নূর মোহাম্মদ খানের তিন মেয়ের মধ্যে নুসরাত বড়। বাকি দুই মেয়ে নিশাত খান ও নাফিসা খান লন্ডন থেকে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের চীনপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন নূর মুহাম্মদ খান। ১৯৭৯ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বিলুপ্ত হলে জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তিনি টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী সাবিহা সুলতানা সাম্মী খান নাগরপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।