
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা পার্বত্য অঞ্চলে কোনো রকম অশান্তি বা হানাহানি চাই না। আমরা এ অঞ্চলে সব সময় শান্তি চাই। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি চাই। উন্নয়ন চাই। তাই কোনো অবস্থাতেই যাতে এখানে শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, সেজন্য সবাইকে আন্তরিক থাকতে হবে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাঙামাটিতে আয়োজিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবরদান উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তায় রাঙামাটিতে বাংলাদেশের বৌদ্ধদের সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবরদান আয়োজন এটাই প্রথম, যেখানে উপস্থিত থেকে সাক্ষী হলেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা নিজেই। আমি আশা করি আগামীতে এ উৎসবটির ধারাবাহিকতা চালু থাকবে।
তিনি বলেন, বৌদ্ধদের প্রবারণা উৎসব অন্যতম একটি ধর্মীয় দিন। সামনে এ দিনটিতে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণার জন্য আমি সরকারকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকেই এদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক।
বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি মিলন বিহারে প্রথম আয়োজিত পাহাড় ও সমতলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবরদান উৎসব শুক্রবার বিকালে কোমর তাঁতে বেইন বোনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এদিন বিকালে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানে শেষ হয় শনিবার বিকালে।