
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরত এলে বা তাকে ফেরত পাঠালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে বলে ধারণা করছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি। তার দাবি, এই ভয়াবহতার কথা শেখ হাসিনাও জানেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও জানে। এসব বলে শাসক মহলে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও দাবি তার।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের একটা বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারতে যদি কেউ পালিয়ে থাকে বা ভারতে কেউ যদি আশ্রয় নেয় তাহলে সেই ধরনের আসামিকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারত সরকার বাধ্য। সেদিক থেকে শেখ হাসিনার বিচার চলছে। বিচার চলাকালে সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য একটা ভারবাল নোটিশ পাঠিয়েছে।
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন বলার চেষ্টা করছে, দুনিয়া উল্টে গেলেও ভারত কখনো শেখ হাসিনাকে দেবে না। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে তারা পাঠাবে প্রধানমন্ত্রীর রূপে, বিভিন্নজনের মুখে এই ধরনের কথাবার্তা ভয়ংকর কথাবার্তা। সীমান্ত দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুশ-ইন করাবে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ইনসার্জেন্সি চালাবে।
যেভাবে ভয় দেখানো হয়েছে তার চেয়েও ভীতিকর অবস্থায় আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলে দাবি করেছেন গোলাম মাওলা রনি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরেন তিনি। রনির ভাষ্য, ‘প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত এখনো চিন্তা করছে বা ভাবছে যে শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর রূপে বাংলাদেশে ক্ষমতায় তারা প্রতিষ্ঠিত করবে—এ রকম একটা মনোভাব ভারতের রয়েছে।’ রনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিজের মুখের বক্তব্য যদি এ রকম হয়, সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের লোকজন আরো কয়েক দফায় এগিয়ে তো নানা কথা বলতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসার জন্য সত্যিকার পাগলামো করেন। আর সেই পাগলামোতে যদি নরেন্দ্র মোদিরা ইন্ধন দেন এবং সত্যিকার অর্থে তাকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেন; পাঠিয়ে দেন। তাহলে এয়ারপোর্টে অথবা সীমান্তে কী হতে পারে, একটু চিন্তা করেন।’
সংবিধানের ১০৬ নং অনুচ্ছেদ নিয়ে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘১০৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে যত বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা হচ্ছে, তত বেশি দুর্গন্ধ, অশান্তি, ভয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন উপদেষ্টার সেফ এক্সিট, পালিয়ে যাওয়া, আখের গোছানো, ভবিষ্যৎ কী হবে, কোথায় যাবেন, কী হবে? এ সকল হাহাকার ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে।