Image description
 

নতুন গণমাধ্যমের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

 

বুধবার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হলো কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। যেহেতু কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হচ্ছে না, তাই নতুন গণমাধ্যমের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এটি আগের নিয়ম অনুযায়ী করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি নতুন আইনে গণমাধ্যমের অনুমতি দিতে পারতাম, তবে সেটি সবচেয়ে সুখকর হতো। কিন্তু নতুন আইন প্রণয়ন করতে গেলে, এ সরকারের আমলে কোনো নতুন গণমাধ্যম আসতে পারবে না।

নতুন গণমাধ্যম এলে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

ইতোমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার যে প্রক্রিয়ায় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের (টিভি) লাইসেন্স দিত, সেই একই প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টিভির অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন নেক্সট টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার করাতিটোলা লেন। ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই টিভি চ্যানেলের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন বগুড়ার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম হাফিজুর রহমানের ছেলে এ কে এম গোলাম হাসনাইন। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী এবং সৌদি আরব (পূর্বাঞ্চল) বিএনপির সভাপতি।

অন্যদিকে, ‘লাইভ টিভি’ অনুমোদন পেয়েছে গত ১৪ জুলাই। আরিফুর রহমান নামের আরেকজন এই টিভির মালিকানায় রয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মিনার্ভা মিডিয়া লিমিটেড’। ঠিকানা ১৪৩ নম্বর সড়ক, গুলশান-১। আরিফুর রহমান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে এনসিপিতে যোগ দেননি বলে জানা গেছে।

বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ৫০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে রয়েছে মাত্র ৩৬ প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ১৪টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদিত আইপি টিভি (ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন) রয়েছে ১৫। টিভি চ্যানেলের আরও কিছু আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো হলো জাতীয় পরিচয়পত্র, আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম (প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র), সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ, ব্যাংক সলভেন্সি সনদ, প্রকল্প প্রস্তাব এবং চ্যানেল চালানোর সামর্থ্য আছে মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা।

আবেদন করার পর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। বেসরকারি টিভি লাইসেন্স পাওয়ার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে ‘ফ্রিকোয়েন্সি ক্লিয়ারেন্স’ নিতে হয়। মূলত সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের ‘সবুজ সংকেত’ থাকলেই তরঙ্গ পাওয়া যায়।