Image description

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ)। আসনটি বহুদিন ধরেই ‌‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার সেই দুর্গে ধাক্কা দিতে মাঠে নেমেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও জামায়াতে ইসলামীর অভিজ্ঞ নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান। আর মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির ভেতরে শুরু হয়েছে পাঁচ নেতার লড়াই।

শিবগঞ্জ মানেই বিএনপির প্রভাব

বগুড়ার উত্তর প্রান্তের এই আসনটি স্বাধীনতার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এখানকার ভোটারদের রাজনৈতিক মনোভাব দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী ধারার প্রতি ঝোঁকপ্রবণ। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাসিম উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হয়ে আসনের সূচনা করেন। কিন্তু মাত্র ছয় বছর পর ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবুল হাসানাত চৌধুরী বিপুল ভোটে জয়ী হন, যা এই আসনে বিএনপির উত্থানের সূচনা করে। ১৯৮০-এর দশকে সামরিক শাসন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচন বর্জনের মতো ঘটনাগুলোর মধ্যে শিবগঞ্জে ভোটের ধারা বদলায়। ১৯৮৬ সালে সীমানা পরিবর্তনের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাফফর হোসেন চমক দেখিয়ে জয় পান। এরপর ১৯৮৮ সালে ফ্রিডম পার্টির সৈয়দ মাসকুরুল আলম চৌধুরী বিজয়ী হন, যা ছিল এ আসনের রাজনীতিতে এক ব্যতিক্রমী অধ্যায়।

১৯৯১ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর জয় পান জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান। তবে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির রেজাউল বারী ডিনা জয়ী হন এবং একই বছরের জুন মাসে পুনঃনির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থী বিজয় ছিনিয়ে নেন।

২০০১ সালের নির্বাচনে আবারও জয় পান রেজাউল বারী ডিনা। ২০০৮ সালে একেএম হাফিজুর রহমান জয়ী হয়ে আসনের ব্যাটন ধরে রাখেন। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় আসনটি জাতীয় পার্টির হাতে চলে যায়। এরপর থেকে জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ একাধারে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের তিনটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করেন। যদিও তার শেষ দুটি বিজয়ে বিএনপির অংশগ্রহণ থাকলেও অভ্যন্তরীণ বিভক্তি, মনোনয়ন সংকট এবং ভোট বিভাজন তাকে সুবিধা এনে দেয়।

 

সবমিলিয়ে ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি জয় পেয়েছে পাঁচবার, জাতীয় পার্টি তিনবার, আওয়ামী লীগ একবার, জামায়াত একবার, ফ্রিডম পার্টি একবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় শিবগঞ্জের ভোটের ইতিহাসে বিএনপি সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি।

বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে পাঁচ প্রার্থী

দীর্ঘদিন হারানো আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি এবার শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১১৭টি ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে, গ্রাম-গঞ্জে কর্মিসভা ও উঠান বৈঠক চলছে। কিন্তু বড় বাধা আসছে ভেতরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে। মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচজনই স্থানীয়ভাবে পরিচিত মুখ এবং নিজস্ব ভোট ব্যাংক ও কর্মী বলয় রয়েছে। এদের মধ্যে মীর শাহে আলম শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং জেলা সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে সক্রিয়, গ্রামীণ ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক এবং সাংগঠনিকভাবে দৃঢ় অবস্থান রয়েছে তার। জানা গেছে, তিনি একাধিকবার লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন।

মনোনয়ন প্রসঙ্গে মীর শাহে আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘তারেক রহমান যাকে যোগ্য মনে করবেন, এই আসনে তিনিই প্রার্থী হবেন। তবে আমরা বিএনপির পরীক্ষিত সৈনিক। দলকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছি। তারপরও বলছি, ধানের শীষ যার আমরা ভেদাভেদ ভুলে তার জন্যই কাজ করবো।’

 

ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার। কেন্দ্রীয় মহলে তার পরিচিতি বেশি, তবে স্থানীয় উপস্থিতি তুলনামূলক কম। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামের মানুষ। সেখানেকার মাটি আমাকে টানে। এলাকায় গেলে সাধারণ মানুষের মুখে শুনবেন তারা কাকে চায়। এখন যোগ্যতার মাপকাঠিতে দলই এটা মূল্যায়ন করবে।’

এমআর ইসলাম স্বাধীন জেলা বিএনপির সহসভাপতি। পরিষ্কার ভাবমূর্তি এবং তরুণ ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে। সংগঠনের বাইরে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় এলাকায় পরিচিতি বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের চাহিদা বুঝে প্রার্থী হয়েছি। তারা মুখের পরিবর্তন চায়। এ কারণে ভোটের মাঠে রয়েছি।’

মতিয়ার রহমান মতিন শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। পৌর এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনসংযোগের অভিজ্ঞতা আছে তার। শহুরে ভোটে তার দখল শক্ত। তবে গ্রামীণ এলাকায় তেমন প্রভাব নেই বলে দলের ভেতর অনেকে মনে করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। দলকে বিভক্তির কারণে ছুটে যাওয়া নেতাকর্মীদের ধরে রেখেছি। আমি এবার মনোনয়ন চাচ্ছি।’

একাধিকবার নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান। অভিজ্ঞ, সিনিয়র এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রশাসনিক মহলেও যোগাযোগ আছে। তবে বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে প্রচারণায় গতি কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও এই নেতা বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়ার পরীক্ষিত সৈনিক। এবারও মনোনয়ন চাইবো।’

দলীয় সূত্র বলছে, পাঁচজনের মধ্যে মীর শাহে আলম ও এমআর ইসলাম স্বাধীন সবচেয়ে বেশি তৃণমূল সমর্থন ধরে রেখেছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত থেকে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে আরেকটি গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিএনপি কৌশলগত কারণে এই আসনটি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ছেড়ে দিতে পারে। কারণ, রাজনৈতিক মিত্র দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনা চলছে। মান্নার জন্য বিএনপি আসন ছেড়ে দিলে স্থানীয় পর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শহুরে প্রভাব ও গ্রামীণ সংশয়

মাহমুদুর রহমান মান্না শিবগঞ্জের সন্তান হলেও তার রাজনৈতিক পরিচিতি মূলত জাতীয় পর্যায়ে গড়ে উঠেছে। ছাত্রজীবনে জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন। পরে দল থেকে বের হয়ে নাগরিক ঐক্যের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হিসেবে নিজস্ব রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। টেলিভিশন টকশো ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি জাতীয়ভাবে পরিচিত মুখ। এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না শিবগঞ্জ থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার জন্য আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে শিবগঞ্জ থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। হয় স্বতন্ত্র নয়তো বিরোধী জোটের সমন্বিত প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাই।’

বিরোধী পক্ষের আসন সমঝোতা হলে এখানে তাকে ‘একক প্রার্থী’ করেও সমর্থন দেওয়া হতে পারে—এমন আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে অনেক কথা শোনা যায়। সিদ্ধান্ত হলে তখন সবাই জানতে পারবেন। তবে মাঠে ছিলাম, এখনো আছি।’

তবে মাঠের বাস্তবতায় কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। স্থানীয়ভাবে তাকে অনেকেই ‘বহিরাগত’ মনে করেন। কারণ দীর্ঘসময় তিনি রাজধানীকেন্দ্রিক রাজনীতি করেছেন এবং এলাকায় নিয়মিত ছিলেন না। গ্রামীণ ভোটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও তৃণমূল নেটওয়ার্ক তার তুলনামূলক দুর্বল। তার বড় শক্তি হলো শহুরে, উচ্চশিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, বিশেষ করে শিবগঞ্জ পৌরসভা ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তার সংস্কারমুখী ও সরাসরি বক্তব্য দেওয়ার ধরন জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারে।

বিএনপি যদি এ আসনে প্রার্থী না দেয়, অথবা শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বদলের কারণে তৃণমূলে অসন্তোষ তৈরি হয়, তখন মান্না ‘ভোট ভাঙার’ চেয়ে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার প্রার্থিতা বিরোধী ভোটকে একপাশে টানার পাশাপাশি অন্য প্রার্থীকে চাপের মুখে ফেলতে পারে। অন্যদিকে বিএনপি আসনটি মান্নার জন্য ছেড়ে দেওয়ার পরও যদি দলটির কেউ স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করেন তখন ভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মান্নার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গ্রামীণ ইউনিয়নগুলোর ভোট ঘরে তোলা। শহরে তিনি যে প্রভাব রাখেন, তা গ্রামে রূপান্তর করতে না পারলে এই আসনে তার অবস্থান প্রতীকী হয়ে যাবে।

গ্রামীণ ভোটের পুরোনো ঘাঁটি জামায়াতের

অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান শিবগঞ্জ আসনের রাজনীতিতে এক পরিচিত নাম। তিনি জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন, যা তাকে তৃণমূল পর্যায়ে স্থায়ী রাজনৈতিক অবস্থান এনে দেয়। দীর্ঘদিন মাদরাসা শিক্ষা ও ধর্মীয় সংগঠন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে গ্রামীণ জনপদে তার নেটওয়ার্ক দৃঢ় হয়েছে।

বর্তমানে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিয়েছেন শাহাদাতুজ্জামান। তিনি ভাটরা, ঘোড়াদহ, কিচক, অন্নদানগরসহ ইউনিয়নভিত্তিক জামায়াতের পুরোনো শক্ত ঘাঁটিতে প্রচার শুরু করেছেন। এসব এলাকায় ভোটারদের একটি বড় অংশ এখনো দলীয় আনুগত্য ধরে রেখেছেন, যা তার জন্য নিশ্চিত ভোটব্যাংক হিসেবে কাজ করবে।

শাহাদাতুজ্জামানের অন্যতম কৌশল হলো নারী ভোটারদের কাছে পৌঁছানো। তিনি এরইমধ্যে নারী কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ঘরে ঘরে যোগাযোগ শুরু করেছেন, বিশেষ করে পর্দানশীল নারী ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সুরক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তার নির্বাচনী প্রচারণায় মসজিদভিত্তিক নেটওয়ার্ক, স্থানীয় আলেম-উলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন ছাত্রদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। গ্রামীণ ভোটের এই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অন্য প্রার্থীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় শহুরে প্রভাব কম।

জামায়াতের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি পুরোনো মানুষ। মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমার অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এলাকার মানুষ অবগত রয়েছে। যে কারণে এখন মাঠে গেলে সব বয়সের ভোটারদের সাড়া পাই।’

বিভাজন-প্রতিদ্বন্দ্বিতা-কৌশল

এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৬ হাজার ১১৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৩ হাজার ৪৬০ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৬২ হাজার ৭২৩ জন। নির্বাচনী বিশ্লেষকরা বলছেন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী হলেও এবার তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর কারণ হলো মনোনয়ন নিয়ে দলের পাঁচজন নেতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ ঐক্যকে অচল করে দিতে পারে। প্রার্থী চূড়ান্ত না হলে বা শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন হলে, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে।

আবার জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান গ্রামীণ এলাকায় দৃঢ় ভোট ব্যাংক ধরে রেখেছেন। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না যদিও নিজে পুরো সময় শিবগঞ্জে নেই, শহুরে ও শিক্ষিত ভোটারদের মধ্যে প্রভাবশালী। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেমন সেলিম সরকার রেজা, বিউটি বেগমও তৃণমূল ভোট ভাগাতে সক্ষম।

ধারণা করা হচ্ছে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিএনপি বনাম জামায়াত হবে। তবে তিন বা ততোধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকলে ভোট বিভাজন অবশ্যম্ভাবী। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে শক্ত আসনের দখলও হারাতে পারে বিএনপি।