Image description
 
পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণা ও রেগুলেটরি টি সেল আবিষ্কারের ফলে এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিন গবেষক/ ছবি: ন্যাচার

পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে অবদান রাখায় চলতি বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‍্যামসডেল ও শিমন সাকাগুচি।

পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স হলো- দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার (ইমিউন সিস্টেম) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি শরীরের বাইরে থেকে আসা ক্ষতিকর বস্তু ও নিজের টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায় ও প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শান্ত রাখে।

 

আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা সাধারণত জীবাণু, ভাইরাস বা ক্ষতিকর পদার্থ আক্রমণ করে ধ্বংস করে। কিন্তু অনেক সময় এই ব্যবস্থা ভুল করে কারও শরীরের নিজের টিস্যুকেও অপরিচিত ভেবে আক্রমণ করতে পারে। এভাবেই অটোইমিউন রোগ তৈরি হয়।

অটোইমিউন রোগের মধ্যে রয়েছে- ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, লুপাস এরিথেমাটোসাস, বাতজ্বর ও ক্রোহন রোগ।

 

পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার বিশেষ রক্ষাকারী কোষ ‘রেগুলেটরি টি সেল’। মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‍্যামসডেল ও শিমন সাকাগুচি সর্বপ্রথম এই কোষ শনাক্ত করেন।

রেগুলেটরি টি সেলগুলোকে বলা হয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ‘নিরাপত্তাপ্রহরী।’ তারা অন্য প্রতিরোধকারী কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে তারা শরীরের নিজের কোষ বা নিরীহ পদার্থ আক্রমণ না করে।

এই কোষের আবিষ্কার নতুন এক গবেষণাক্ষেত্রের ভিত্তি গড়ে দেয়। একই সঙ্গে এই আবিষ্কারের হাত ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নানা সম্ভাবনার পথ খুলে গেছে।

 

বর্তমানে এই আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। গবেষকদের আশা, ভবিষ্যতে এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে অটোইমিউন রোগ নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ও ক্যানসারের চিকিৎসায় আরও কার্যকর উপায় বের হবে।

 

সূত্র: ন্যাচার, সায়েন্স ডিরেক্ট ডটকম