
খাগড়াছড়ি পার্বত্য এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট উত্তেজনার ঘটনায় পুলিশ তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা থানায় দায়ের করা মামলায় সহিংসতা, পুলিশে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে প্রায় এক হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা দৈনিক জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, "সদর উপজেলার মহাজনপাড়া, স্বনির্ভর ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ২৭ সেপ্টেম্বর পুলিশে হামলা, সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গতকাল বুধবার প্রায় ৭০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর থানার এসআই শাহরিয়ার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।"
অন্যদিকে গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী দৈনিক জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, "২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের পাশাপাশি ধানক্ষেত থেকে তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত এবং সহিংসতা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৫০-৩০০ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করায় পুলিশের এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখযোগ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুম্ম ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ ঘোষণা করেছিল। এরপর থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের মেডিকেল দল কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ জনগণকে শান্তি বজায় রাখার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে।