Image description

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি নৌকায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপের পর উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে আটকদের ইসরায়েলের বন্দরে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে মাত্র একটি নৌকা গাজার দিকে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। সবার নজর যখন ফ্লোটিলায়, সেই সময় কেমন আছে গাজা? 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকার বৃহত্তম শহর গাজা সিটি দখলের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। সেখানকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গতকাল বুধবার এক বার্তায় ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েল কাটজ লিখেছেন, ‘যারা গাজায় থেকে যাবে, তাদের সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বলে গণ্য করা হবে।’

কাটজের এই মন্তব্যকে হামাস ‘ঔদ্ধত্যের স্পষ্ট প্রকাশ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

এর আগে বুধবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ঘোষণা করে, গাজার প্রধান উপকূলীয় সড়ক আল-রশিদ স্ট্রিট দুপুর থেকে দক্ষিণের দিকে যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে গাজা সিটির অবরোধ আরও কঠোর করা হলো।

ইসরায়েলের এই আক্রমণে বাধ্য হয়ে আরও বহু ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের জিনিসপত্র গাড়িতে ভরে দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসরায়েল ঘোষিত মানবিক অঞ্চলগুলোর দিকে যাচ্ছে, যা গাজা ও দক্ষিণ গাজায় অবস্থিত।

এদিকে গাজা সিটিতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এতে শহরের অবশিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ওপর চাপ আরও বাড়ছে, যা যুদ্ধাহতদের ভিড়ে ইতোমধ্যেই চরম সংকটে।

রেড ক্রস জানিয়েছে, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক। তারা আরও জানায়, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য এবং আহতদের ভিড়ে বিপর্যস্ত ‘অবশিষ্ট হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা’ কেন্দ্রগুলোতে সাহায্যের জন্য তাদের দল সর্বোচ্চ সময় পর্যন্ত সেখানে ছিল। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ‘ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস’ গাজা সিটিতে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে।

এদিকে, ফ্লোটিলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেখানে আজ সকাল থেকে হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে।