
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে নানা ‘অসঙ্গতি’ থাকলেও প্রশাসন তা নিয়ে ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, আব্দুল কাদের, উমামা ফাতেমা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তারা এ অভিযোগ করেন।
দীর্ঘ ছয় বছর বাদে গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেশিরভাগ পদে জয় পায় ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐকবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, নির্বাচনের আগে ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য চেয়েছি। ডাকসু নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোটার টার্নআউট দেখানো হয়েছে, আমরা সে পরিমাণ উপস্থিতি মাঠে দেখতে পাইনি। ফলে আমরা ভোটাদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি করেছি। আর নির্বাচন নিয়ে একাধিক অসঙ্গতির বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন উমামা।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে গাউসুল আজম মার্কেটের ব্যালট পেপার এবং স্বাক্ষর তালিকার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তাদের মধ্যে এসব বিষয়ে একটি অনীহা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিষয়ে কনসার্ন এসেছে। এই দুই হলে এত পরিমাণ ভোট টার্নআউট হয়নি। কিন্তু সেখানে উপস্থিত উপাচার্য ও প্রক্টর বলছেন, এসব (তথ্য) দেওয়ার সুযোগ নেই।
ছাত্রদলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কনসার্নগুলো জানিয়েছি। আমরা গাউসুল আজমে অরক্ষিত ব্যালটের বিষয়ে জানতে চেয়েছি, তারা বিষয়টি জানেই না। ভোট কাস্টিং তালিকা নিয়ে তারা গড়িমসি করছে। এটি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সে তালিকায় কেবল উপস্থিতির স্বাক্ষর আছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ এসব নিয়ে কথা বলতে চাননি।