Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে নানান অভিযোগ তুলে পরাজিত ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়ে আমাদের কনসার্ন নেই। আমাদের কনসার্ন নির্বাচন কমিশন ও তাঁদের কার্যক্রম নিয়ে।’ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডাকসু নিয়ে নানা অভিযোগের সার্বিক অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আব্দুল কাদের বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের আগে ও পরে আমরা নানাবিধ শংকার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাদের সংশয়ের কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার যে বিষয়টি, তাদের কথা ও কাজের যে মিল নেই- সেটি আমরা জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের আগে বলেছিল, আগে যা হয়েছে তা হয়েছে, নির্বাচনের দিন ভালো কিছু হবে। তোমরা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারো। আমরা আস্থা রেখেছিলাম। নির্বাচনের দিন আমরা ফোন করে নানা সমস্যার কথা বলেছিলাম, তখন বলেছিল দেখছি। নির্বাচনের পরেও আমরা নানা কনসার্ন জানিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিগত দিনের যে সংস্কৃতি মিছিল করা, মিটিং করা, ভিসিকে অবরোধ করা- এসব কিছু‌ই করিনি। আমরা শুধু চেয়েছি শিক্ষার্থীদের মনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে, সেটি নিশ্চিত করা হোক। আমরা দেখেছি, ব্যালট পেপারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গাউসুল আজম মার্কেটে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তাছাড়া ভোটারদের উপস্থিতির নিয়ে‌ও আমরা শংকা প্রকাশ করছি ‘

নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এসব বিষয়ে অনীহা দেখাচ্ছে অভিযোগ করে আব্দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মনে শংকার জায়গা তৈরি করছে। আমরা চাই না, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হোক। তারা যে এসব বিষয়ে গড়িমসি করছে, যা শিক্ষার্থীদের মনে শংকা আরো ঘনীভূত হবে।’

‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, তা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রাখে। আমরা যে শুধু এখন‌ই এ নির্বাচন নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করছি, তা কিন্তু নয়। সামনের দিনেও যখন বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা হবে, তখন কিন্তু ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু নিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা‌ও চাই যে অভ্যুত্থান পরবর্তী যতগুলো নির্বাচন হবে, সেগুলো যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবেই দেখতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ডাকসু নির্বাচন করেছে, সেটা কিন্তু ভালো প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কিন্তু ডাকসুতে প্রায় ৪৫০ প্রার্থী ও হলের যারা প্রার্থী ছিলেন, তাদের পক্ষ থেকে নানা কনসার্ন জানানো হয়েছে।’

ব্যালট পেপার গাউসুল আজম মার্কেটে পাওয়া গিয়েছিল, এর কোন ব্যাখ্যা তারা দিতে পারেনি অভিযোগ করে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আমরা ভোটার উপস্থিতি তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিলাম। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, স্পেসিফিক জহুরুল হক হল ও মুজিব হলে যে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে, সেখানে সেই পরিমাণ ভোটারের উপস্থিতি ছিল না। এসব বিষয়ে নিয়েই আজকে ভিসি স্যার-প্রক্টর স্যারের সাথে আলোচনা করি।’

তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে এক প্রকার না সূচক উত্তর পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা চেষ্টা দেখছি এ প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়ার। আমরা দাবি করেছি অতি দ্রুত যেন এসব বিষয়ের সঠিক উত্তর দেওয়া হয়।’