
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, “দেশে অদ্ভুত যত সব ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের ক্যান্টিন ম্যানেজারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে সেই টাকা নাকি জামায়াতের বায়তুল মালে জমা দেয়া হয়েছে। ক্যান্টিনের ম্যানেজারকে জরিমানা করার কোনো অধিকার ডাকসু বা হল সংসদের ভিপি, জিএসদের নেই। এটা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব।”
আজ রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, ড. মারুফ মল্লিক এর “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: নাগরিক ও জাতিবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ শীর্ষক বইয়ের ওপর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় লেজুড়বৃত্তি চলছে, যেটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। অথচ সেখানে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনকে সর্বোচ্চ পাওয়ার দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলো।”
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “দেশের মিডিয়াগুলো বিএনপিকে ভীষণ নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বালুমহাল, সিলেটের পাথর লুটপাট, দেশজুড়ে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারি- সবখানেই কিন্তু জামায়াতের নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপির কারো নাম আসলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করছি। অথচ সেই বহিষ্কারের বিষয়টা মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছে।”
রিজভী বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদেরকে ‘জাতীয়তা বাংলাদেশি’ পরিচয় দিয়ে গেছেন। এটি জিয়াউর রহমানের একটি অমর অবদান। শেখ হাসিনা এখনো ভ্যানিটি ব্যাগে জিয়াউর রহমানের দেয়া এই পরিচয় বহন করে বেড়ায়।”
শীর্ষনিউজ