শেখ মুজিবুর রহমানের দু’টি বক্তব্য ব্যাপকভাবে আলোচিত। এক. ‘সবাই পায় সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি’। দুই. ‘সাড়ে সাত কোটি বাঙালির ৮ কোটি কম্বল, গাজী (গাজী গোলাম মোস্তফা) আমার কম্বল গেল কই’। বাস্তবতা হচ্ছে শেখ মুজিব স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগ পরবর্তীতে বাকশালে শুধু মস্তান, লুটেরা, বদমাইশ, চোরই সৃষ্টি করেননি; নিজের পরিবারেও চোরের পয়দা করেছেন। শিল্পী রুনা লায়লার একটি গান ‘টাকার পিছে দুনিয়া ঘোরে, আমি ঘুরলে দোষ কি/সুখের আশা সবাই করে, আমি করলে দোষ কি/বলো না দোষ কি’। মানুষের মধ্যে টাকার লোভ থাকতেই পারে। কিন্তু এক পরিবারের সবাই! এমনকি আত্মীয়-স্বজনরাও!!
‘শেখ পরিবার’ এমন একটা পরিবার যে পরিবারে একজনও ভালো ন্যায় নীতিবান মানুষ জন্ম নেয়নি! সবাই চোর? শুধু মুজিব পরিবার নয়, ওই শেখ পরিবারের সঙ্গে যারা আত্মীয়তা করেছেন তাদেরও সবাই চোর! আত্মীয়-স্বজনদের পারিবারিক অন্য পদবি হলেও সবাই নামের আগে ‘শেখ’ ব্যবহার করেন শুধু চুরি সুবিধার জন্য? সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ পরিবারে সদস্যদের চুরি, লুট, অনৈতিকতা, এমপি-মন্ত্রী হওয়া, বাসার চাকর-বাকরদের কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির নামের পেছনে ‘মিস্টার টেন পার্সন’ জুড়ে দেয়া হয়েছিল। স্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় তিনি প্রতিটি উন্নয়নকাজ থেকে মোট বরাদ্দের শতকরা ১০ পার্সেন্ট নিতেন। এ জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তার নাম দিয়েছিল ‘মিস্টার টেন’। অথচ হাসিনার শাসনামলে শেখ রেহানাকে প্রতিটি উন্নয়ন কাজে মোট বরাদ্দের শতকরা ৩০ ভাগ দিতে হতো। সে টাকা গোটা পরিবারের সদস্যরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতেন। এমনকি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, ঢাকার মেট্রোরেল, বিআইটিসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়িয়ে সে টাকা বাগিয়ে নিয়েছে শেখ পরিবারের সদস্যরা। অথচ বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের তাঁবেদার গণমাধ্যমগুলো শেখ রেহানার নামের সঙ্গে কখনোই ‘মিসেস থার্টিন’ শব্দটি ব্যবহার করেনি।
ভারতের সহায়তায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তার নিজের পিতা শেখ মুজিবর রহমানকে ১৮ কোটি মানুষের ঘাড়ে ‘জাতির পিতা’ চাপিয়ে দেন। টাকার অভাবে মানুষ খেতে পারে না, চিকিৎসা পায় না অথচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী পালনে শত শত কোটি টাকা খরচ করা হয়। দালালরা শেখ হাসিনাকে জননেত্রী, মাদার অব হিউমেনিটি নামে অভিহিত করেন। প্রায় অর্ধডজন ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারী শেখ হাসিনা কথায় কথায় ‘শেখ পরিবারে জন্ম হওয়ায়’ অহঙ্কার করতেন। দেশে আর যেন কোনো ঐতিহ্যবাহী, সমৃদ্ধ ফ্যামিলি নেই। শুধু তাই নয়, মুজিব বন্দনা এমন পর্যায়ে নেন যেত শেখ মুজিবের হত্যার দিন ১৫ আগস্ট কেউ জন্ম নিতে পারবে না এমন নিয়ম চালু করেন। ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদের মতো শেখ হাসিনা বলতেন ‘আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ সাধারণ ব্যাপার। আমি তো বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমার পিতা হচ্ছেন জাতির পিতা, তিনি এ দেশ সৃষ্টি করেছেন। আমি সেই শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমি দেশও বেচি না দেশের স্বার্থও বেচি না। আমি সবসময় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে চলি। তার জন্য আমি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ক্ষমতায় না এলেও আমার কিছু আসে যায় না। আমার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়, দেশের মানুষের মাথা যাতে উঁচু থাকে সেটাই আমার কাজ। আমি এর-ওর কাছে ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ধরনা দিয়ে বেড়াই না’। এটা ছিল তার কমন ডায়ালগ। আবার তার চেলা-চামু-ারা প্রায় বলতেন শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তাকে অবিশ্বাস করা অন্যায়। অবশ্য ২০১৮ সালে বিএনপি তাকে বিশ্বাস করে নির্বাচনে গিয়ে কি ফল পেয়েছে তা অন্য প্রসঙ্গ।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে এই শেখ হাসিনা ১৫ বছর ভারতের ‘করদরাজ্যে’ রাজ্যে পরিণত করে রেখেছিল। এই কয় বছর উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা করে দিয়েছে। একাধিক ব্যাংক হয়েছে দেউলিয়া। গোটা শেখ পরিবার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তার বোন শেখ রেহানা ‘মিসেস থার্টিন পার্সেন্ট’, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ভাগিনা রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, ভাগিনী টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী সবার এমনকি আত্মীয়-স্বজনরাও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করেছে। ঘুষ-দুর্নীতিকে শৈল্পিকরূুপ দিয়ে দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার বাসার কাজের লোকও চারশ’ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন’। হাসিনা তার এক সময়ের কাজের মেয়ে মাহবুব আরা গিনিকে গাইবান্ধা-২ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ পর্যন্ত করেন। শেখ পরিবারে কমপক্ষে ৩০ জন এমপি বিগত সংসদে ছিলেন।
হাসিনার শাসনামলে দালালদের কাছে শেখ রেহানা ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি পর্দার আড়ালে গোপন সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। শেখ হাসিনা রাজনীতি করলেও শেখ রেহেনার টার্গেট ছিল টাকা। তিনি টাকার বিনিময়ে মন্ত্রী-এমপি বানাতেন, প্রশাসনের বড় বড় পদে নিয়োগ-বাণিজ্য করতেন। দেশের উন্নয়নের নামে বেশির ভাগ মহাপ্রকল্পে ৩০ পার্সেন্ট নিতেন। এমনকি রেহানার ইচ্ছামতো নতুন নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে প্রচুর অর্থ কামাতেন। শেখ পরিবারের দুই বোন মিলে দেশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যান যে, বিসিএস কর্মকর্তারা সরকারি চাকরির বদলে মুজিব পরিবারের সদস্যদের বাসায় ‘কাজের লোক’ চাকরি করতে বেশি উৎসাহী হয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই বলে যে ‘আমাকে ভিসি পদ ছেড়ে দিয়ে যদি যুবলীগের সভাপতি করা হতো আমি ধন্য হতাম’।
শেখ পরিবার দেশের টাকা শুধু বিদেশে পাচার করে থামেনি। বিদেশেও লুট করেছে। শেখ রেহানার বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের সিটি এবং অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাত এবং লন্ডনে দু’টি ফ্ল্যাট ঘুষ নেয়ার তথ্য গোপন করায় মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। য্ক্তুরাজ্যের মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে, টিউলিপ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তির কাছ থেকে দু’টি ফ্ল্যাট উপঢৌকন নিয়েছেন। একটি ফ্ল্যাট নেন তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, দুর্নীতি তদন্ত চলছে, দোষী প্রমাণ হলে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী টিউলিপকে কারাগারে যেতে হতে পারে।
টিউলিপ য্ক্তুরাজ্যেই শুধু দুর্নীতিতে জড়াননি; ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের করার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
২০২২ সালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে বিশেষ বিমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। তিনি সরাসরি আমেরিকা না গিয়ে ঘুরপথে হাঙ্গেরি যান। সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় খবর বের হয় বাংলাদেশের কোনো এক মহাপ্রকল্পের ৩০ পার্সেন্টের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে রেহানার ছেলে রেদোওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরোধ হয়। খালা হাসিনা ভাগিনার বিরোধ মেটাতে কয়েকটি কালো সুটকেসে ডলার নিয়ে গিয়ে হাঙ্গেরিতে অবস্থানরত ভাগিনা ববিকে দেন।
শেখ হাসিনার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দু’জনই বিকারগ্রস্ত এবং দুর্নীতিবাজ। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। নিয়োগ খ-কালীন ও অবৈতনিক প্রচার করা হলেও জয় প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা বেতন নেন এবং সে টাকা বিদেশে পাচার করেন। জয়ের বিরুদ্ধে ৮টি বিলাসবহুল গাড়ি, ৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। এফবিআইয়ের তদন্তে বলছে, হাসিনা ও জয় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে ৩০ কোটি ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন। এফবিআইয়ের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।
সজীব ওয়াজেদ জয় পারিবারিকভাবে বিপথগামী। তাই স্ত্রীর সঙ্গেও তার বিচ্ছেদ হয়েছে। ২০০২ সালে জয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। ওটা দু’জনের ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। সোফিয়া নামে তাদের ১৪ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিন বছর আগে জয়-ক্রিস্টিনার ছাড়াছাড়ি হলেও এতদিন মুজিব ফ্যামিলি থেকে তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল। তবে প্রখ্যাত ইউটিউবার বনি আমিন দু’বছর আগে প্রচার করেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারের বিরোধ এবং শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যে চুলাচুলির ঘটনা আদালতে গড়ালে ভার্জিনিয়ার কোর্ট জয়ের কন্যা সোফিয়ার সঙ্গে হাসিনার দেখা সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করে দেয়। পরে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। মেয়ে সোফিয়াকে নিয়ে ক্রিস্টিনা এখন আগের স্বামী রিচার্ড লুমিসের সঙ্গে থাকেন ভার্জিনিয়ায়। আর জয় থাকেন নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে। দীর্ঘ তিন বছর বিবাহ বিচ্ছেদের কথা অস্বীকার করলেও সম্প্রতি জয় বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করেছেন। শুধু জয়ের এই পরিণতিই নয়, হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলেরও সংসার ভেঙেছে। তার স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও হাসিনার শাসনামলের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে। শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মিতু কয়েক বছর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটির একটি ব্যাংকে জমা হলে সে টাকার উৎস জানাতে ব্যর্থ হলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুকে কারাগারে আটক রাখা হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় নানাভাবে কন্যার স্বামী মিতুকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভারতের মোদির সাহায্য নেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় অবৈধ অর্থের ওই মামলা থেকে কন্যাকে বাঁচাতে কাগজপত্রে মিতুকে তালাক দেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রচার হলেও দেশের কোনো গণমাধ্যম প্রচারের সাহস দেখায়নি। ২০২০ সালে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের দায়ে ফরিদপুর ছাত্রলীগ সভাপতির নিশান মাহমুদ শামীমসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই মামলায় সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। ওই পাচারকৃত টাকা পুতুলের স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুর।
এদিকে হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদে নিয়োগ পেয়েছেন। নানা অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে এই পদ পাওয়ার অভিযোগে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আবার রাজধানীর পূর্বাচল নিউ টাউনের কয়েকটি প্লট পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ নেয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী।
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচু্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত পাঁচ মাসে শেখ পরিবারের দুর্নীতির প্যান্ডোরার বাক্সের কেবল মুখ খুলেছে। তাতেই এ অবস্থা। প্যান্ডোরার পুরো বাক্স খুলে গেলে শেখ পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির আর কত তথ্য উঠে আসে কে জানে।