
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে পরিচালিত একটি অভিযানে ৫০ জনেরও বেশি মোসাদ এজেন্টকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। অভিযান চলাকালে আরও দুই এজেন্ট নিহত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ঘাঁটি।
আইআরজিসির পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “সিস্তান-বেলুচিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করা ৫০-এর বেশি সন্ত্রাসী ও ভাড়াটে সৈন্যকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে দু’জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।”
অভিযানটি গত দুই সপ্তাহ ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আটককৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ইরান দাবি করছে, এই সব ব্যক্তিরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালে তেহরানের যেসব স্থানে বোমা হামলা হয়েছিল, সেসব স্থানের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি দ্রুত পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ইসরায়েল গত ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত ১০২ জন নারী ও ৩৮ শিশুসহ মোট ৯৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েকশ’ মানুষ।
এই অভিযান এবং প্রেসিডেন্টের তৎপরতা এমন সময় সামনে এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলকে ঘিরে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। মোসাদ এজেন্টদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা ঘাঁটিতে সরাসরি হামলার জবাবে ইরান আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
শীর্ষনিউজ