
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে ভিপি নুর নেতৃতাধীন গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ও নাহিদ ইসলাম নেতৃতাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একীভূত হয়ে এক দলে পরিণত হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে তরুণদের পরিচালিত এ দুই দল আসলেই এক হবে কিনা সে ব্যাপারে জানতে দুই দলেরই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, দুই দলের একীভূতকরণ নিয়ে আপাতত কোনো আলোচনা হয়নি। গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, এরকম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপির এক নেতা জানান একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, আলোচনাও হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময় হয়। এনসিপির নেতাকর্মী ও আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে। তবে এখনই সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।
গণঅধিকার পরিষদের দলীয় মুখপাত্র (উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) ফারুক হাসান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এনসিপির সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে এখনো আমাদের কোনো আনু্ষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে তো অনেক কিছুই সম্ভব।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, এনসিপির সঙ্গে একীভূতকরণ নিয়ে ওরকম আলোচনা হয়নি। তবে আমরা চাই, তরুণেরা এক হয়ে বা এক সাথে রাজনীতি করুক। তবে তাদের সাথে আমরা যেহেতু একসাথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, সেহেতু তাদের সাথে আমাদের টুকটাক যোগাযোগ আছে।
এনসিপির সাথে গণ অধিকার পরিষদের একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করলে আবু হানিফ বলেন, সম্ভাবনা রয়েছে। একীভূত হতে পারে।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এখনো এরকম (একীভূত হওয়া) কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। এমনকি গণ অধিকার পরিষদ থেকে কোনো প্রস্তাবনাও আসেনি। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আমাদের একসাথে কাজ করার চিন্তা রয়েছে।