Image description

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে মতৈক্য গড়তে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে  বৈঠকে বসছে সরকার। বিকাল চারটা থেকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে  এই আলোচনা শুরু হবে। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। যদিও গতকাল বিকাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈঠকের বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। বৈঠকে কোন কোন দল অংশ নিচ্ছে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয় আমন্ত্রণ পাওয়ার পর দলীয়ভাবে আলোচনা করে অংশ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিএনপি, জামায়াত ও বিএনপি’র সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকেও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। 

বৈঠকের বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, এই বিষয়ে আমি কোনো দাওয়াত পাইনি। শিওর হয়ে কিছুই বলতে পারছি না। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কখন ও কোথায় বৈঠক হবে তা জানানো হয়নি। 
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বুধবার রাতে মানবজমিনকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো সরকার কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। সর্বদলীয় বৈঠকে সব দল গেলে আমরাও যাবো। 

জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, সবার সঙ্গে আমাদের কথা বলা হয়ে উঠেনি। তবে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত, নারী ও শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। সবাই একমত আছেন যে ঘোষণাপত্রটি দিতে হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রটি কবে এবং ভেতরে কী কী কন্টেন্ট থাকবে সেই বিষয়ে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি।

গত ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানান, ছাত্রদের ঘোষণাপত্র পাঠের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি তাদের ‘প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ’। এ বক্তব্যের একদিন পর তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার পর ৩১শে ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র পাঠ থেকে সরে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে ‘জুলাই প্রক্লেমেশন’ ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়সীমা বুধবার শেষ হয়েছে।