
রাজধানী ঢাকায় সম্প্রতি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একাধিক ঝটিকা মিছিল, বিক্ষোভ ও সহিংস কর্মকাণ্ড নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ‘হিট অ্যান্ড রান’ কৌশল ব্যবহার করে সংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপ হঠাৎ করে সড়কে নেমে আসে, স্লোগান দেয়, বোমা ফাটিয়ে মুহূর্তের মধ্যে এলাকা ত্যাগ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর বাংলামটর, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, উত্তরা ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও মতিঝিল এলাকায় সন্ধ্যার পরপরই এসব ঝটিকা মিছিল ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে, বর্তমান সরকার মানবাধিকার বিষয়ে বেশি শ্রদ্ধাশীল থাকার সুযোগে ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া ফাটলে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপ‑দল মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শ্যামলীর শিশুমেলার সামনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের একটি ঝটিকা মিছিলের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সময় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক জানিয়েছেন, ঝটিকা মিছিল থেকে ছয়জনকে আটক করা হলেও পাঁচজন সরাসরি জড়িত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নেতা বিন ইয়ামিনের অনুসারী।
ওসি ইমাউল হক বলেন, ঝটিকা মিছিল করতে আসা ব্যক্তিদের একটি অংশ এসেছিল পায়ে হেঁটে। আর একটি অংশ এসেছিল মোটরসাইকেলে করে। যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল একটি দল। পরে তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠনের কিছু লোক শিশুমেলার সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দিয়েছিল। সেখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা জানান, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের এসব আচরণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। আমরা প্রতিটি ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।’