Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপি নেতার বক্তব্য অনুযায়ী দেশের ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জামায়াতের, তাহলে বাকিগুলো কাদের? জামায়াতের কেউ ভিসি হলে নিজ যোগ্যতায় হয়েছে। এসব বিতর্ক করে সমাধান পাওয়া যাবে না।’ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে গত রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, দেশের ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতপন্থী শিক্ষককে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলাফল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে পাওয়া গেছে বলেও মনে করেন তিনি। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা।

জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে ১০০টির ওপরে। আমি যদি ধরে নিই, ১৬টিতে জামায়াতে ইসলামীর লোক, আর বাকিটা কাদের লোক। আমার কাছে ১০টি পাখি আছে, আপনি বললেন, একটা পাখি উনি নিয়ে গেছেন। আর ৯টা কোথায় নিয়েছে, আপনি বললেন না। এগুলো হচ্ছে, এক ধরনের প্রোপাগান্ডা।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর যদি তারা ভিসি হয়, তাহলে তাদের যোগ্যতার বলে হয়েছে। আমি জানি না, কারা কারা জামায়াতে ইসলামীর ভিসি। বাকিগুলো তাহলে আরেকটা পার্টির। সেভাবে যদি আমরা বিতর্ক করি, তাহলে কি সমাধান পাওয়া যাবে? তিনটা সচিব যদি জামায়াতে ইসলামীর হয়, তাহলে বাকি ৯৭টি কার?

কয়েকটি দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের দাবিগুলো হলো- জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এসব দাবি আদায়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ডা. তাহের। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল; ১৯ সেপ্টেম্বর সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ।