
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা মো. তারেককে নারী কেলেঙ্কারি ও সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ মার্চ (১১ রমজান) গণিত বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তারেককে ক্যাম্পাসের একটি ব্যাচেলর মেসে দেখা যায়। পরে প্রতিবাদ জানালে ২০ মার্চ রাতে তারেক ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন কর্মী নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। এতে সে শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন ও মানসিক চাপে পড়েন।
ঘটনার পর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হলেও পূর্ববর্তী প্রশাসন দীর্ঘদিন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের ২৫০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার এবং অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, তারেক ক্যাম্পাস জীবনের শুরুতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে দাপট দেখানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণায়ও সক্রিয় ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি হঠাৎ ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
সম্প্রতি ছাত্রদলের ৭৩ ভোটারের কাউন্সিলের মাধ্যমে মাভাবিপ্রবিতে নতুন কমিটি গঠিত হলে তারেকের ভোটার নম্বর ছিল ৫১। ৯ সেপ্টেম্বর বহিষ্কারের আদেশ কার্যকর হওয়ার পরও ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রদলের পাম্পলেট বিতরণ কার্যক্রমে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে যোগ দিয়েও তারেক ক্যাম্পাসে দাপট দেখাত এবং নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় শাস্তি পাওয়ায় তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জানা গেছে, বহিষ্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।