
রাষ্ট্রের প্রয়োজনে গৃহীত সকল সংস্কার প্রস্তাবগুলো এখনই মানতে হবে, সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশো'র হোটেলে আয়োজিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জনমানুষের ভাবনা ও প্রত্যাশা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, অনেক প্রস্তাব আলোচনার একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
যেসব প্রস্তাবে সবাই সিদ্ধান্তে না আসবে সেগুলো নিয়েও পরবর্তীতে আলোচনা সুযোগ রয়েছে। কিন্তু গৃহীত সংস্কার গুলো এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনি চাইলেই সংবিধান সংশোধন করতে পারেন না। তার জন্য নির্বাচিত পার্লামেন্ট দরকার। বরং সংস্কার প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে তো আমরা সবাই আন্তরিক, একমত। সংবিধানের বাইরে কিভাবে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে আরেকটি প্যারালাল সংবিধান তৈরি করা ভবিষ্যতে সংকটের সৃষ্টি করবে।
সালাউদ্দিন আরো জানান, দীর্ঘ ষোল বছর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত মানুষ জীবন দিয়েছে। তাই এমন কোন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা উচিত যাতে করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে যায়।
রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
শীর্ষনিউজ