
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরুর দুই ঘণ্টা পর খাবার দোকানে বসেছেন জশদ জাকির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করে নয় শিক্ষার্থী। ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে রয়েছেন বাম সংগঠনের নেতারাও। অনশনে বসা নেতারা হলেন, চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহ্ জান এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদর্শন চাকমা, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র এবং , স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাম্রা সাইন মারমা।
জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টায় অনশন শুরু করলেও দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে কলা ঝুপড়ির একটি খাবারের দোকানে জশদ জাকিরকে দেখা যায়। তিনি খাবার খাওয়া শেষ করে কয়েকজনের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করেন। পরে টিস্যুতে হাত মুছে খাবারের টাকা দিতে দেখা যায় তাকে।
জানতে চেয়ে শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকিরকে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পরপরই ফোন কেটে দেন।
তবে এ বিষয়ে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সাড়ে ১২টা থেকে অনশনে বসেছি। এর আগে সকাল থেকেই না খাওয়া অবস্থায় ক্লাস করেছি। আমি ভিসি স্যার ও আরও দুজন স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। অনশনে বসার আগেতো নিজের সারাদিনের একটা প্রস্তুতি আছে। আমি সকাল থেকে ব্যক্তিগতভাবেই অনশনে ছিলাম। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি।