Image description
 

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। সেই সঙ্গে সকলকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই আহ্বান জানান।

 

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছ, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যকে দৃঢ় করব এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা থেকে রাজপথে যত ষড়যন্ত্রই আসুক, দেশ বিরোধী যত ষড়যন্ত্র আসুক, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্র আসুক, সকল ষড়যন্ত্রকে আমরা আপনাদেরকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করার জন্য আজকে আমরা শপথ নিতে চাই।

জাহিদ বলেন, আমি ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা অতীতে গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে আমাদের সাথে ছিলেন, এখনো আছেন। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে আগামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযাত্রায়ও ইনশাল্লাহ আপনারা তার পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত রুখে দাও’ শীর্ষক এই সমাবেশ হয়।

 

‘আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে’ ব্যাখ্যা করে ডা. জাহিদ বলেন, আগামী বাংলাদেশ কি ধরনের হবে? স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কি হবে? আইনের শাসনের কি অবস্থা হবে? কৃষি ব্যবস্থা কি হবে এবং জনপ্রশাসন কি হবে? সর্বোপরি মানুষ কীভাবে তার প্রয়োজনে তার ভাত কাপড় এবং আপনার খাদ্যের যে চাহিদা অর্থাৎ মৌলিক চাহিদা কীভাবে মেটানো যাবে তার প্রতিটি জিনিস ৩১ দফা কর্মসূচিতে বিএনপিসহ সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল একত্রিতভাবে জুলাই জুলাই সেটি ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ এটি হচ্ছে, আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা। কীভাবে বাংলাদেশে আগামী সরকার অর্থাৎ সকল মানুষকে সাথে নিয়ে একটি সরকার পরিচালিত হবে। এই সরকারে মানুষ আস্থা রাখবে। সেই সরকারের দেশের সুশাসন নিশ্চিত হবে আইনের শাসন নিশ্চিত হবে এবং নিরপরাধ কোন মানুষ সাজা প্রাপ্ত হবে না অপরাধীরা ছাড়া পাবে না কাজেই এই ধরনের একটি সামাজিক অবস্থা এই ধরনের একটি বন্দোবস্তের জন্যই আমরা লড়ছি ১২ দলীয় জোট লড়ছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল লড়ছে।

 

তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে দৃঢ় করে আমরা রাজপথে থেকে এমন একটি ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলবো যার মাধ্যমে কোন অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদ দূরে থাকব, ফ্যাসিবাদের দোসররাও যাতে কোন ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে সেখানে ঢুকার কোনো সুযোগ না পায় সেই ঐক্যকে আমরাও দৃঢ় করব।ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকেই আমরা সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবো।

১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব আবদুল করিম, ইউনাইটেড লিবারেল পার্টির  চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান ও প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মোঃ লিটন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু।