
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন জিএস পদপ্রার্থী মাহিন সরকার। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনের আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মাহিন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৫টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি নবনির্বাচিতদের উদ্দেশে লেখেন, ডাকসু এবং হল সংসদে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। অবিশ্বাস্য জনসমর্থন নিয়ে এসেছেন, এটা বিশাল আমানত। অকল্পনীয় ব্যাপার-স্যাপার!
এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘ ছয় বছর পর ডাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০ বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা।
ভোট গ্রহণ শেষে জানা যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ৮০.২৪ শতাংশ, অমর একুশে হল ৮৩.৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হল ৮১.৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হল ৮২.৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ৮৪.৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হল ৬৫.৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ৬৮.৩৯ শতাংশ।
এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ৬৭.০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হল ৮২.৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ৮৩.৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হল ৮৫.০২ শতাংশ, সূর্যসেন হল ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হল ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হল ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হল ৬৪ শতাংশ, শামসুন নাহার হল ৬৩.৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ডাকসুর মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ছিলেন ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন।