Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন চলাকালীন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের লাইভে ছাত্রদলের দুই কর্মী দাবি করেন, শাহবাগ থেকে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

লাইভে শাহবাগ এলাকায় অবস্থান করা একজনের আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচন দেখতে আসছি। এর মাধ্যমে বুঝতে পারব, গণঅভ্যুত্থানের  পর আসলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হচ্ছে, নাকি আগের মতো আছে। আমি দেখতে আসছি, ছাত্রদলের প্যানেল যাতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়লাভ করতে পারে। বিজয়োল্লাস করতে পারি আমরা। আর একাত্তরের পরাজিত শক্তি শিবিরকে প্রতিহত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাতে শিক্ষার্থীবান্ধব হয়।’

এ সময় ছাত্রদলের কত জন কর্মী এখানে আছেন, জানতে চাইলে আরেক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আসলে গোনা যাবে না, অগণিত ছেলে এখানে আছে। কাঁটাবন থেকে শুরু করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন এলাকায় ছাত্রদলের ছেলেরা অবস্থান করছে। এখানে বাইরের কেউ নেই।’

এর আগে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের কাছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল লিখিত অভিযোগও দিয়েছে।

নেতাকর্মীরা ‘ভোট চোর ভোট চোর, প্রশাসন ভোট চোর’, ‘প্রহসনের নির্বাচন, মানি না মানব না’, ‘ভোট চোরদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন। টিএসসি থেকে মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে ডাকসু নির্বাচন বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সিনেট ভবনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিনেট ভবনে তাদের অভিযোগ ভিসির কাছে তুলে ধরেন। এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ভিসির সঙ্গে উচ্চবাক্য ও টেবিল থাপরিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

ভিসির কাছে ছাত্রদল নির্বাচনে কারচুপি, প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের পক্ষে কাজ করছে সহ নির্বাচন কেন্দ্রীক বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, ঢাবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।