
রাজধানীর বিজয়নগরে গত ২৯ আগস্ট রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরই মধ্যে নূরের ‘শর্ট মেমোরি লস’ হয়েছে বলে একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, নূরের শর্ট মেমোরি লস হয়নি।
২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরের আলরাজি টাওয়ারের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন সাবেক ডাকসু ভিপি নূর। ঘটনার পর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে।
৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, নূরের শর্ট মেমোরি লস হয়নি। এ ধরনের আঘাতে মেমোরি লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নূর প্রথম দিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জরুরি বিভাগ থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা চালায়। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নূরের নাকের হাড় ভাঙায় মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে, তবে এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। সাধারণত এমন ইনজুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। চোখে আঘাত থাকলেও রক্তক্ষরণ হয়নি। মাথার আঘাত নিয়েও শুরুতে আশঙ্কা ছিল, তবে পরবর্তী সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে রক্তক্ষরণ মোটামুটি সেরে গেছে। বর্তমানে নূর স্থিতিশীল এবং সুস্থতার পথে আছেন।
পরিচালক আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নূরের জ্বর ও সর্দিকাশির উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এজন্য মেডিসিন বিভাগের প্রধান তাকে দেখছেন এবং কয়েকটি পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। পরীক্ষার ফল হাতে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সবশেষে তিনি বলেন, নূরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে পারে।