Image description

প্রায় মাসখানেক ঝটিকা মিছিল থেকে কিছুটা বিরত থাকলেও সম্প্রতি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যপক ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। গত শনিবার রাতেও আচমকা মশাল হাতে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে সুইচগেট এলাকা পর্যন্ত ঝটিকা মিছিল নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। গত শুক্রবারও জুমার নামাজের পরে তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো এলাকায় ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের’ ব্যানারে সম্প্রতি সময়ের সবচেয়ে বড় মিছিল বের করা হয়। একইদিন সকালে একই থানা এলাকার জিএমি মোড় থেকে কিছু লোকজন মিছিল করে।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্থানীয় সূত্র ও আ’লীগের নেতাকর্মীদের সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তাদের মিশন বাস্তবায়নে ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক তৈরি করেছে। তারা রাজধানীর বিভিন্নস্থানে প্রথমে ব্যপকহারে ঝটিকা মিছিল দিয়ে মিশন শুরু করতে চায়। এরপর নাশকতা তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য তারা ঢাকায় অবস্থান করে ছদ্মবেশে ঝটিকা মিছিল থেকে ককটেল নিক্ষেপসহ আরো ভয়ঙ্কর ছক তৈরি করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়। এই মিশন বাস্তবায়নে বিদেশে বসে ঢাকায় অর্থায়ন করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মী ও শিল্পপতিরা।

এ দিকে জুলাই অভ্যুত্থানে পলাতক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সাথে। অর্ন্তবর্তী সরকারকে যেন কোনোভাবে সহযোগিতা না করা হয় সে বিষয়েও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পুলিশের মধ্যে বিভাজন তৈরি এবং ঊর্ধ্বতনদের অসহযোগিতার জন্যও পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরকেও সতর্ক থাকার জন্য গোয়েন্দারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ওই পরামর্শে তারা বলেছেন, পুলিশের মধ্যেও ক্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘ক্যু’ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না, এ ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

বিদেশে বসে পরিকল্পনা : একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দেশের বাইরে রয়েছে। বিশেষ করে ভারতে যারা অবস্থান করছেন তারা আপাতত দেশে প্রবেশ করবেন না। এর কারণ তারা সেখানে অর্থের বিনিময়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তারা দলকে অর্থ সরবরাহ করছেন। পতিত আওয়ামী লীগের আমলে বিপুল টাকার মালিক হয়ে যাওয়ায় দেশে এসে জেল খাটতে রাজি নয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেকে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে আরাম আয়েশে থাকায় জেলের ঘানি টানতে রাজি নয়। এ জন্য তারা বাংলাদেশে অবস্থান করা নেতাকর্মীদের অর্থ সরবরাহ করছে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে। তাদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী থেকে শিল্পপতি।

ঢাকার বাইরে থেকে এসে কার্যক্রমে অংশ : গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় ঝটিকা মিছিল বা সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে রাজি না। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম ও ওয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের মাধ্যমে এরই মধ্যে সিনিয়র নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের হয়ে সুবিধা ভোগের পর বিদেশে গিয়ে আরাম-আয়েশে থাকছেন, অথচ দেশে যারা রয়েছে, তারা দৈন্যদশার মধ্যে জীবনযাপন করছে। এলাকায় থাকতে পারছেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রেইড দিচ্ছে। এ অবস্থায় তারা দলের হয়ে এলাকায় মিছিল বা অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। এ জন্য তারা ঢাকামুখী হয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এ জন্য প্রয়োজন অর্থ। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, অর্থ জোগান দিতে না পারলে তারা কোনো কার্যক্রমেই অংশ নেবেন না। পরে সিনিয়র নেতারা বলেন, সাংগঠনিক কাজে যত অর্থ প্রয়োজন তারা দেবেন। সরকারবিরোধী কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে আওয়ামী লীগের সক্ষমতা। সময়মতো অর্থ বাংলাদেশ থেকেই ব্যক্তির মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিশ্চিত হয়েছেন ঢাকায় ছদ্মবেশে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ঝটিকা মিছিলসহ অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা খণ্ড খণ্ডভাবে ঝটিকা মিছিল করছেন ।

পুলিশের মধ্যে অসন্তোষ : আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশে চাকরি পাওয়া অনেক সদস্য রয়েছে। তারা সার্বিকভাবে যোগাযোগ করছে পলাতক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে। আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে ওইসব সদস্য পুলিশের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি (অসহযোগিতা) করছে। চাউর আছে পুলিশের ভেতরেই বিভাজন তৈরি করে ক্যু সৃষ্টি করবে। এরই মধ্যে সম্প্রতি কিশোরগঞ্জে আদালতে হাজিরা দিয়ে ফিরে আসার পথে এনবিআরের সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে পুলিশ সদস্যরা মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে একটি রেস্টুরেন্টে এক ব্যবসায়ীর সাথে বৈঠক করার সুযোগ করে দেয়। এ ঘটনা পুলিশ জানতে পেরে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর ঘটনার সত্যতা পেলে এক এএসআইসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়। গোয়েন্দাদের ধারণা, বিদেশে থাকা পুলিশের পলাতক ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশেই মতিউরকে সুযোগ দেয়া হয়। মতিউরের সিমাহীন দুর্নীতির টাকায় ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা থাকতে পারে।

আলোচনায় সেনাবাহিনী : টেলিগ্রাম গ্রুপে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ চায় যেন সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যায়। সেনাবাহিনী মাঠে না থাকলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে সুবিধা হবে। আওয়ামী লীগ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আরো বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ওইসব পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এই আশঙ্কা খোদ দেশে থাকা তৃণমূল নেতাকর্মীদের। গোপালগঞ্জে এবং কাকরাইলে সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ভূমিকার কারণে যেকোনো মিছিল বা নাশকতা করতে চাইলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে সেনাবাহিনী। এ জন্য সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে বড় কোনো অস্থিতিশীল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না বা ঘটাতে ব্যর্থ হবে।

থামানো যাচ্ছে না নিষিদ্ধ আ’লীগের ঝটিকা মিছিল : কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল যাতে হতে না পারে সে জন্য রাজধানীর সব থানায় কড়া নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে ডিএমপি সদর দফতর। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ধানমন্ডি ও বনানীতে ঝটিকা মিছিলের পর আরো কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের। মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশের পেট্রোলিং, গোয়েন্দা নজরদারি ও চেকপোস্ট জোরদারের কথা জানানো হয়। এর পরও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী এই ঝটিকা মিছিল। আরো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- সম্প্রতি বের করা মিছিলগুলোতে কিছু নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যা আওয়ামী লীগের গোপনে সংগঠিত হয়ে নাশকতার করার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সবশেষ গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরে তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো এলাকায় ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের’ ব্যানারে বড় মিছিল বের করা হয়। তখন তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের নিয়ামুল হাসান নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আর দুপুরের মিছিলের ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ধানমন্ডি এলাকায় আবারো শুক্রবার কয়েকশত নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বেলা ২টার দিকে তেজঁগাওয়ের মিছিলে হাজারখানেক লোক ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’; ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’; ‘হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ’- এসব সেøাগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা তিব্বত এলাকার দিকে গিয়ে সটকে পড়ে। এ সময় ব্যানারে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশে হাসবে’ ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ লেখা ছিল। মিছিলে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘরে বসে থাকলেও বাঁচার সুযোগ নাই, তাইলে আর ঘরে থেকে লাভ কী, এই জন্য মিছিলের নির্দেশ পেয়ে লোকজন নিয়ে নেমে পড়ছি। তারা আরো বলেন, শেখ হাসিনাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর প্রতিবাদে মিছিল করছি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ রাজধানীর বনানী ফ্লাইওভার এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে। এর আগে গত ৩১ অগাস্ট ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে রাপা প্লাজাসংলগ্ন রাস্তা থেকে শংকরের বাংলাদেশ আই হসপিটালের সামনের সড়ক পর্যন্ত মিছিল করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরও সপ্তাহখানেক আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের কয়েক শ’ নেতাকর্মীকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। শুধু এই ঘটনাগুলোই নয়- মাঝেমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের খবর আসে। মিছিলে অংশ নেয়ার অভিযোগে অনেককেই গ্রেফতারও করা হচ্ছে নিয়মিত।

আ’লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিষদ বৈঠকে আরো বলা হয়েছে, পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ঠেকানোর। এই সময়ে দেশে অবশ্যই নির্বাচন হবে। একই সাথে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ছাড় নয় বলে উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান প্রেস সচিব। সভায় স্বরাষ্ট্র, পরিকল্পনা, বিদ্যুৎ, আইন, নৌপরিবহন, অর্থ, শিল্প, স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ ১০ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মনিটরিং-ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর নেপথ্যে যারা সক্রিয় রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি যখনই দেখছে দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে এবং জুলাই হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে, তখনই তারা বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। তারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে মাঠে নেমেছে।

তিনি বলেন, ‘এটা কেবল আইনশৃঙ্খলার ইস্যু নয়; বরং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না। সরকার মনে করে দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকা প্রয়োজন।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সভায় ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশ মোকাবেলায় আরো কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই, যে এটি পেছাতে পারবে।’

আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে তিনি বলেন, দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘœ হয়, নিরাপত্তা যেন আগে থেকে নেয়া হয় সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন সব ধর্মীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

সম্প্রতি রাজবাড়ীর ঘটনায় নেয়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত দুইজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, যারাই জড়িত থাকুক না কেন, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’