Image description

ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত সেলিম প্রধানের রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের ছবি ও বইগুলো সরিয়ে ফেলেন গুলশান জোনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতাকর্মীরা। এ সময় রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা পেছনের গেট থেকে পালিয়ে যান। 

আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় ‘নেক্সাস ক্যাফে প্যালেসে’ প্রবেশ করেন বৈছাআ ও বাগছাসের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ ‘রেস্টুন্টের বাহিরে জুলাইয়ের চেতনা, ভেতরে ক্যাসিনো ব্যবসা’ পরিচালনা করছেন সেলিম প্রধান। 

জানা গেছে, আজ ‘নেক্সাস ক্যাফে প্যালেসে’ রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা বই ও জুলাই শহীদদের ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেন শিক্ষার্থীরা। রেস্টুরেন্টের বাহির-ভেতরে জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাইদ ও শহীদ মীর মুগ্ধসহ জুলাই শহীদদের ছবি ব্যবহার করে ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত সেলিম প্রধান ব্যবসা পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

বৈছাআ-বাগসাস নেতাকর্মীরা বলেন, ‘শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানার পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজের ভাইয়ের নেতৃত্বে ‘নেক্সাস ক্যাফে প্যালেসে’ একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কয়েক কেজি সিসা ও মাদকসহ সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। আমাদের গণঅভ্যূত্থানের অন্যতম মুখ শহীদ আবু সাইদ ও শহীদ মীর মুগ্ধের নাম-ছবি ব্যবহার রেস্টুরেন্টের ভেতরে যদি এসব ব্যবসা চলে, তা কখনোই মেনে নেওয়ার মতো না। তারা বৈধভাবে ব্যবসা করলে করুক, কিন্তু অবৈধভাবে করলে প্রশাসন এটা দেখবে।

কিন্তু অভ্যুত্থানের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো অপকর্ম না করতে পারে, তাই এখানে আমরা এসেছি। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ছবি ও বইগুলো এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি এবং সরকারি লাইব্রেরিতে সেগুলো দিয়ে দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রেস্টুরেন্টে জুলাই শহীদদের ছবি ব্যবহার অপকর্ম করায় শিক্ষার্থীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তাই সেখানে তারা গিয়েছেন এমন শুনিছি। আমরা পুলিশের একটি টিম সেখানে পাঠিয়েছি। 

এ ছাড়াও মাদকসহ সেলিম প্রধানকে রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। আজ আদালতে তাকে উঠানো হয়, পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।’