
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাস্টার দা সূর্যসেন হল ছাত্রদল প্যানেল ঘোষিত ইশতেহারে বেশ কয়েকটি ভুল তথ্য ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যেখানে একাধিকবার মাস্টার দা সূর্যসেন হলের পরিবর্তে বিজয় একাত্তর হল শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইশতেহারে সূর্যসেন হলের পরিবর্তে বিজয় একাত্তর হলের সাথেই প্রাসঙ্গিকতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
ছাত্রদল সমর্থিত মাস্টার দা সূর্যসেন হল সংসদ নির্বাচনে প্রান্ত-নিলয়-গালিব পরিষদের ইশতেহার প্রকাশের পরই এই বিষয়গুলো আলোচনায় আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পাশাপাশি হাস্যরসও করতে দেখা গেছে নেটিজেনদের। তারা বলছে, সূর্যসেন হল থেকে নির্বাচিত হয়ে বিজয় একাত্তর হলের জন্যও কাজ করতে পারবে ছাত্রদলের প্যানেল! যা ‘এক ডিলে দুই পাখি মারা’র সমান!
সূর্যসেন হল ছাত্রদল প্যানেলের ঘোষিত ইশতেহার ৪ নম্বর দফায় উল্লেখ করা হয় , জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অবদান ও ইতিহাস সংরক্ষণ করার জন্য 'জুলাই সৃষ্টি স্তম্ভ' স্থাপন।
৬ নম্বর দফায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান পদ্মা ও যমুনা ব্লকের রিডিং রুমকে স্থানান্তর করে বিলুপ্ত মেঘনা গণরুমকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন রিডিং রুমে রূপান্তর করা হবে। কিন্তু পদ্মা, যমুনা ব্লক ও মেঘনা গণরুম সবকটিই বিজয় একাত্তর হলে অবস্থিত, সূর্যসেন হলে নয়।
একই দফায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পেপারস রুম স্থানান্তর করে নিচ তলায় স্থাপন করা হবে। তবে মাস্টার দা সূর্যসেন হলের পেপারস রুম নিজ তলায়ই অবস্থিত।
১২ নম্বর দফায় বলা হয়েছে, বিজয় একাত্তর হলের সার্বিক কল্যাণে হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে 'বিজয় একাত্তর হল এলামনাই এসোসিয়েশন' গঠন। কিন্তু বিজয় একাত্তর হল সূর্যসেন হল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি হল।
এই নিয়ে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি পদে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন প্রান্ত বলেন, এটা একটা সাধারণ টাইপিং মিস্টেক। অনেক সময় দেখা যায় যে সব হলের সমস্যাগুলো একই রকম হয়। তাই হয়তো টাইপিং করার সময় এমন মিস্টেক হয়েছে। তবুও আমরা হলে শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে এই বিষয়টি ক্লিয়ার করেছি।
জানা গেছে, ডাকসুতে ২৮ জন প্রার্থী আর হল সংসদে ১৩ জন প্রার্থী। মাস্টার দা সূর্যসেন হল সংসদের জন্য ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) মনোয়ার হোসেন প্রান্ত এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) লিয়ন মোল্যাকে মনোনীত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন প্রান্ত এবং ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়ন মোল্যা। এছাড়াও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সামিউল আমিন গালিব মনোনীত হয়েছেন।
তাছাড়াও সাহিত্য সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা আলিফ, সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির হাসান, পাঠকক্ষ সম্পাদক শাকিল আহাম্মেদ, ইনডোর গেমস সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক: শাদমান সাকিব, সমাজসেবা সম্পাদক শিপন মিয়া নির্বাচন করবেন। সদস্য পদে নির্বাচন করবেন লিমন মেজর লিংকন, মো সুমন হোসাইন, জাওয়াদ আহমেদ শিকদার, যুহাম পাশা।