
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য জামায়াতকে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, দয়া করে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে আসেন। একদিকে বলেন পিআর না হলে নির্বাচনে যাবো না, অন্যদিকে বলেন গণভোট না হলে নির্বাচনে যাবো না।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবারও আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে এই ইউনুস সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।
বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের জনগণ জানে— শহীদ জিয়ার দল যতবারই ক্ষমতায় গিয়েছে, জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তারেক রহমানের যে আত্মত্যাগ, ইন্টেরিম গভমেন্ট যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তাহলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।