
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নে তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়েও বড় ভূমিকা পালন করেছিলো তার নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ। পতিত স্বৈরাচার পালানোর পর নানাভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে খুনি সংগঠনটি। তবে এবার যা করেছে তা রীতিমতো চোখ কপালে উঠার মতো। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান বনানীর ফ্লাইওভার এলাকায় মোটর সাইকেল নিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছে তারা। ইতিমধ্যে সেই মিছিলের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছেয়ে গেছে।
ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে বনানী স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে ফ্লাইওভার এলাকা পর্যন্ত চলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই ঝটিকা মিছিল। প্রায় ৫০ জনের একটি দল দ্রুতগতিতে এই কর্মসূচি চালিয়ে যায়। মূলত মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে এই মিছিল করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার খুনি সংগঠনের চ্যালারা। অনেককে পায়ে হেঁটে দৌড়াতেও দেখা যায়।
মিছিলকারীদের হাতে ছিল একটি বড় ব্যানার, যেখানে লেখা ছিলো, “শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে, হঠাও ইউনূস বাঁচাও দেশ” আর ব্যানারের নিচে উল্লেখ ছিল, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর’। এতে স্পষ্ট যে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও এই মিছিল করার দুঃসাহস দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
আর ব্যানারে উল্লেখিত ছাত্রলীগের এই স্লোগান দেখে সাধারণ নেট নাগরিক থেকে শুরু করে আমজনতার প্রশ্ন, সংগঠনটি যদি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও মাঠে এভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে, তবে সামনে কী অপেক্ষা করছে? নির্বাচন ঘিরে আরও কত বড় মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকতে পারে হাসিনার এই ক্যাডার বাহিনী, এই মিছিল যেনো তারই আশনি সংকেত।
সন্ত্রাসী সংগঠনটির মিছিলে অংশ নেওয়া অনেককে দৌড়ে দৌড়ে মিছিল শেষ করতে দেখা গেছে, আবার কেউ কেউ ছিলেন মোটরসাইকেলে। কোনো রকম সংঘাত বা বাধার ঘটনা ঘটেনি, তবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আচমকা উপস্থিতি পথচারীদের মধ্যে সৃষ্টি করে বিস্ময়ের। মিছিলের পর এই গ্রুপের সদস্যরা নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিছিলের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি থেকে। তাদের ভাষ্য এটা ছিল ‘শক্তির জানান’ দেওয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেভাবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডাররা প্রাকাশ্যে মিছিল করেছে, তাতে এটা প্রমাণ হয় যে, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের খুব কাছে আশেপাশেই অবস্থান করছেন। এদের যদি চিহ্নিত করে যদি এখনই দমন না করা হয় বা আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে ২৬ এর জাতীয় নির্বিাচন বানচাল করার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই ক্যাডার বাহিনী।