Image description
 

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান বিলোপ করা হয়েছে।

 

বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

ইসি আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনলাইন পদ্ধতি থাকছে না। ফলে, স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। আর আদালত থেকে ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে এমন বিধান আনতে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ‎এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং হয়ে এলে তারপর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো আদালত থেকে ফেরারি ঘোষিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হবেন। ‎ফলে মামলায় যারা পলাতক হিসেবে আদালত কর্তৃক ঘোষিত হবেন, তারা আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। ‎এ ছাড়া প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে নতুন বিধানে।

‎ইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল করা গেলেও তা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বা তার প্রস্তাবক বা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। তারা তারিখ ও সময় উল্লেখ করে রশিদ দেবেন।

‎আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবে সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদি ও প্রবাসীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এতে ভোটের হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রেসিটেন্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথও নিশ্চিত হচ্ছে। প্রার্থীকে সর্বশেষ ট্যাক্স বছরের রিটার্ন দাখিল করতে হবে৷ দিতে হবে দেশে ও বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণ ও আয়ের উৎস।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন দফায় দফায় বৈঠকের পর মঙ্গলবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এই বিধান যুক্তের সুপারিশ ছিল। সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার বিধান রয়েছে। এবার তা সংসদ নির্বাচনের আইনে যুক্ত করা হচ্ছে। যদিও ফেরারি আসামিকে ভোটে অযোগ্য ঘোষণার বিধান অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে-নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এক চিঠিতে এমন মন্তব্য করেছিল। এখন কমিশন নিজেই ওই বিধান আইনে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল।